1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ককুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নিজের বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আলমের (২৭) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ফারাজীপাড়া থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। ঘটনার মাত্র দুদিন আগে তিনি বিয়ে করেন। তার সঙ্গে দলের কারও কোন্দল বা শত্রুতাও ছিল না। সে ক্ষেত্রে কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নাজমুলকে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নিজ ঘরে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান।

নাজমুলের নববিবাহিত স্ত্রী ঊর্মি খাতুন ও বাবা আলতাব হোসেনকে ঘটনার পরপর পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্ত্রীর কাছ থেকেও কেউ কোনো তথ্য জানতে পারেনি।

পুলিশ, নাজমুলের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৫ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন। কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতেন না। নাজমুল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নাজমুল ছিলেন সবার বড়। নাজমুলের সবচেয়ে ছোট ভাই কয়েক বছর আগে অসুস্থ হয়ে নয় বছর বয়সে মারা যায়। তিন বোনের মধ্যে যমজ বোনের একজন বিয়ে করেছেন। অন্য দুই বোন পড়ালেখা করছেন। বাবা-মা ও বোনদের নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন নাজমুল। গত রোববার পারিবারের সম্মতিতে শহরের কানাবিল এলাকায় ঊর্মি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি।

নাজমুলের বোন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রী সালমা খাতুন বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। মধ্যরাতে প্রচণ্ড শব্দ পান। পরে কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন, ভাইয়ের দরজা খোলা। মেঝেতে ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে। আর ভাবি কাঁদছেন।

নাজমুলের মা নাজমা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার ছেলে বউমাকে নিয়ে শহর ও গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন। রাত ১০টায় তারা বাড়ি ফেরেন। খাওয়া শেষে দুজনই শোয়ার ঘরে যান। রাত তিনটার কিছু আগে হঠাৎ গুলির শব্দ পান। ঘর থেকে বের হতে গেলে নাজমুলের বাবা আলতাব হোসেন তাকে বাধা দেয়। কয়েক মিনিট পর ছেলের ঘরে গিয়ে দেখতে পান খাটের পাশে মেঝেতে ছেলে পড়ে আছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাড়ির দুই দিকে দুটি প্রধান ফটক রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজাসহ ছেলের শোয়ার ঘরের দরজা খোলা ছিল।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান জনি জানান, মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে নাজমুলকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে নাজমুলের শয়নকক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নাজমুলের মাথার ডান পাশে একটা গুলির চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে, গুলিটা বের হয়নি। নাজমুলের স্ত্রীর ডান হাতের একটা আঙুলে কাটার দাগ। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে শটগানের একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নাজমুলের বাবা, মা ও স্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

এদিকে নাজমুলকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে ওসি নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে কে বা কারা জড়িত তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

 

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST