সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতিষ্ঠানে হামলা: সিসি ক্যামেরায় আসামি শনাক্ত করে মামলা

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ২৪, ২০২০ ২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম কেনার জের ধরে যুবলীগ নেতা রাসেদুল হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় হামলাকারীদের শনাক্ত করে মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা ফিরোজ আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুন হোসেন, তানভীর, ছাত্রলীগ নেতা জুনাইদ হোসেন, নাছির, খলিল, সবুজ ও ফারুক। তারা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহজাহানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বুধবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে।

দুপুরে রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যুবলীগ নেতা রাসেদুল হাসান উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। রাসেদ পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মেসার্স রাসেদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী।

মনোয়নয় ফরম সংগ্রহ শেষে রাশেদ সমর্থকদের নিয়ে রতনপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এর কিছুক্ষণ পরই বর্তমান কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানের অনুসারীরা রাসেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেন।

এতে রাসেদের চার সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত সফিকুর রহমান ও জাকির হোসেন মোল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরে রাতে রাসেদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, শাহজাহানের ভাতিজা মামুনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেদের প্রতিষ্ঠানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে হামলাকারীরা।

কাউন্সিলর প্রার্থী রাসেদুল হাসান বলেন, মনোয়ন ফরম কেনায় কাউন্সিলর শাহজাহানের লোকজন আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মো. শাহজাহান জানান, রাসেদের অনুসারীরা আগে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার দুজন লোক আহত হয়েছে।

রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।