সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ১০ অক্টোবর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ৭:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুই দিন আগের ধর্মশালায় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনাররা। এজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়েছে প্রথম ইনিংসেই। সাকিব-মিরাজদের কচুকাটা করে রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

এরপর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। এতে ইংলিশ পরীক্ষায় আর পাশ করা হয়নি সাকিব বাহিনীরা।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার ডেভিড মালান। এছাড়া জনি বেয়ারস্টো ৫২ ও জো রুট ৮২ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী।

জবাবে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে টাইগাররা। কিন্তু দুজনেই ফিফটির পর আউট হয়ে যান। ফলে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৬ রান এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। আর মুশি করেছেন ৫১ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও মালান। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১১৫ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১৭ দশমিক ৫ ওভারে টাইগারদের প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। এই অলরাউন্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ৫৯ বলে ৫২ রানে ফেরেন বেয়ারস্টো।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রুটকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি এগিয়ে নেন মালান। এই জুটিতে আসে ১৫১ রান। শেখ মেহেদির ইনসুইং ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৬ চার ও ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন মালান। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের তৃতীয় সাফল্য আসে পেসার শরিফুলের হাত দিয়ে।

১০ বলে ২০ রানে ক্রিজে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে ফেরান এই পেসার। বাটলার আউট হওয়ার পর দ্রুতই ব্যাটফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। এরপর সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন রুট। ৬৮ বলে ৮২ রানে থাকা এই ব্যাটারকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শরিফুল। পরের বলেই রানের খাতা খোলার আগে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টোনকে।

শেষ দিকে ব্রুকের ১৫ বলে ২০, স্যাম কারানের ১১ রানের সুবাদে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান করে ইংলিশরা। বাংলাদেশের হয়ে ৭১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত শেখ মেহেদি। আর ৭৫ রান দিয়ে শরিফুলের শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও তাসকিন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন লিটন। তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তরুণ এই ওপেনার কিছুতেই যেন ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না। দ্বিতীয় ওভারে রেইস টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন। পরের বলেই ফিরেছেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। সর্বশেষ চার ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলা শান্ত এদিন গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর উকেটে এসেছিলেন সাকিব। লম্বা পথ পাড়ি দিতে সাকিবের কাঁধে অনেক দায়িত্ব ছিল। তবে ধর্মশালায় ব্যর্থ হন বাংলাদেশ অধিনায়কও। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাক অফ ল্যান্থ ডেলিভারি ছিল টপলির। সেখানে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন সাকিব (১)। টাইগার কাপ্তানের পর দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৮ রান।

৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান লিটন-মুশফিক। ৭৫ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপরে ক্রিস ওকসের অফ কাটারের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। তিনি ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

তখনও বাংলাদেশের জয়ের কিছুটা আশা ছিল। কিন্তু দলীয় ১৬৪ রানে মুশফিক আউট হলে সে আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ফিরেছেন টপলির বলেই। ডিপ থার্ডে থাকা আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৫
দুই দিন আগের ধর্মশালায় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনাররা। এজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়েছে প্রথম ইনিংসেই। সাকিব-মিরাজদের কচুকাটা করে রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। এতে ইংলিশ পরীক্ষায় আর পাশ করা হয়নি সাকিব বাহিনীরা।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার ডেভিড মালান। এছাড়া জনি বেয়ারস্টো ৫২ ও জো রুট ৮২ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী।

জবাবে ৩৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে টাইগাররা। কিন্তু দুজনেই ফিফটির পর আউট হয়ে যান। ফলে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৬ রান এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। আর মুশি করেছেন ৫১ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার বেয়ারস্টো ও মালান। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১১৫ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১৭ দশমিক ৫ ওভারে টাইগারদের প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। এই অলরাউন্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ৫৯ বলে ৫২ রানে ফেরেন বেয়ারস্টো।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রুটকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি এগিয়ে নেন মালান। এই জুটিতে আসে ১৫১ রান। শেখ মেহেদির ইনসুইং ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৬ চার ও ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন মালান। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের তৃতীয় সাফল্য আসে পেসার শরিফুলের হাত দিয়ে।

১০ বলে ২০ রানে ক্রিজে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে ফেরান এই পেসার। বাটলার আউট হওয়ার পর দ্রুতই ব্যাটফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। এরপর সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন রুট। ৬৮ বলে ৮২ রানে থাকা এই ব্যাটারকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শরিফুল। পরের বলেই রানের খাতা খোলার আগে ফেরান লিয়াম লিভিংস্টোনকে।

শেষ দিকে ব্রুকের ১৫ বলে ২০, স্যাম কারানের ১১ রানের সুবাদে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান করে ইংলিশরা। বাংলাদেশের হয়ে ৭১ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত শেখ মেহেদি। আর ৭৫ রান দিয়ে শরিফুলের শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও তাসকিন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন লিটন। তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। তরুণ এই ওপেনার কিছুতেই যেন ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না। দ্বিতীয় ওভারে রেইস টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন। পরের বলেই ফিরেছেন তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। সর্বশেষ চার ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলা শান্ত এদিন গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর উকেটে এসেছিলেন সাকিব। লম্বা পথ পাড়ি দিতে সাকিবের কাঁধে অনেক দায়িত্ব ছিল। তবে ধর্মশালায় ব্যর্থ হন বাংলাদেশ অধিনায়কও। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাক অফ ল্যান্থ ডেলিভারি ছিল টপলির। সেখানে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন সাকিব (১)। টাইগার কাপ্তানের পর দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৮ রান।

৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান লিটন-মুশফিক। ৭৫ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপরে ক্রিস ওকসের অফ কাটারের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। তিনি ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

তখনও বাংলাদেশের জয়ের কিছুটা আশা ছিল। কিন্তু দলীয় ১৬৪ রানে মুশফিক আউট হলে সে আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ফিরেছেন টপলির বলেই। ডিপ থার্ডে থাকা আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি।

মুশফিকের পরে তাওহীদ হৃদয় (৬১ বলে ৩৯ রান) ও শেখ মেহেদী (৩২ বলে ১৪ রান) আউট হলে জয়ের সম্ভাবনা প্রায়ই কমে আসে। শেষ দিকে তাসকিন (২৫ বলে ১৫ রান), শরিফুল (১৪ বলে ১২ রান) এবং মুস্তাফিজ (৯ বলে অপরাজিত ৩ রান) প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৭ রানে।

বিএ/

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।