ঢাকারবিবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের চাঁদাবাজি, মাসিক আয় ২৫ লাখ!

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭ ৪:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিবেদক : বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহী মহানগরীতে প্রবেশ করা গাড়ীর কাছ থেকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ চাঁদাবাজি করছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন চাঁদাবাজি আসছে। নগরীতে প্রবেশ করা কোন গাড়ী এর বাইরে নয়। আর প্রতি মাসে এর আনুমানিক পরিমাণ ২৫ লাখ টাকারও বেশি।
চাঁদার এই পুরো টাকাটাই আসে বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন ট্রান্সপোটের গাড়ী ও নগরীর ফুটপাত, ইমাগাড়ী, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য খাত থেকে। প্রতি মাসের শুরুতেই এই চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হয় ট্রাফিক বিভাগকে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাস মালিক সমিতির এক নেতা জানান, বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয় ট্রাফিক বিভাগকে। এই চাঁদা দেওয়ার কারণ হলো, ফিটনেসবিহীন গাড়ী চলাচল করতে দেওয়া। আর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের টিআই-১ এর নিজস্ব লোক দ্বারা চাঁদা নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্য দেওয়া সুত্রটি নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করতে চাননি।

রাজশাহী শহরে প্রবেশ করা বিভিন্ন ট্রান্সপোটের গাড়ীর কাছ থেকেও টোকেনের মাধ্যমে ২২০ টাকা করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে দালালের ২০ টাকা ও ট্রাফিক বিভাগের ২০০ টাকা থেকে। নগরীতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১২০টি ট্রান্সপোটের গাড়ী ঢোকে। এ ছাড়া ৬টি মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে নেওয়া হয় ৪ হাজার টাকা করে। এটাও দালালের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
সিএনজি, অটোরিক্সা সহ অন্যান্য গাড়ীর কাছ থেকেও প্রতি নির্ধারিত হারে মাসোয়ারা নেওয়া হয়। এর সবগুলোই দালালের মাধ্যমে নেওয়া হয়।
নগরীর প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক বিভাগের দালাল দাঁড়িয়ে থেকে টোকেনের মাধ্যমে এই চাঁদা নিয়ে থাকে।

আরএমপির টি আই-ওয়ান মোফাক্কারুলের নেতৃত্বেই চাঁদাবাজি হয়। তিনি সরাসরি তার লোক ও দালাল দিয়ে টাকা তোলান।

তবে তিনি টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা তোলার কোন প্রশ্নেই আসেনা। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর সত্যতা নেই।

 

 

নিরাপত্তার স্বার্থে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাস মালিক সমিতির এক নেতা জানান, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়েই চাঁদা দিতে হয়। এর ব্যতিক্রম হলেই ঝামেলা করা হয়। আর মাইক্রোস্ট্যান্ডের এক চালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে স্ট্যান্ড থেকে ৪ হাজার টাকা দিতে হয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে আরেক ট্রান্সপোর্ট চালক বলেন, টোকেনের মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে। আমাদের টাকা দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হেমায়েত উল্লাহর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

 

খবর২৪ঘণ্টা/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।