সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবুধবার , ১৭ অক্টোবর ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্থ অভাবে বাগমারার মেধাবী ছাত্রী মৌসুমীর ডাক্তারী পড়া অনিশ্চিত

omor faruk
অক্টোবর ১৭, ২০১৮ ৮:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগমারা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাগমারার মৌসুমী আকতার নামে এক অসহায় গরীব বয়লার শ্রমিকের মেয়ে এবারে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েও অর্থ অভাবেও ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শত বাধা আর দারিদ্রকে হার মানিয়ে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়ে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শ্রমিক কন্যা মৌসুমী। তবে অসচ্ছল দরিদ্র শ্রমিক কন্যা মৌসুমী ও তার পরিবার ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজ পড়ার খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা নরদাশ ইউনিয়নের গোড়সার গ্রামের কছির উদ্দিনের মেয়ে মৌসুমী। জন্মের পর পিতা কছিম উদ্দিন বাড়ি থেকে চলে যায়। মা আমেনা তেমন লেখাপড়া জানেন না তবে মেয়ের লেখাপড়াকে এগিয়ে নিতে মা মেয়ের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে করে চলেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। মা আমেনা বিবি পিতার অবর্তমানে মেয়ের লেখাপাড়ার জন্য পরের বাড়ি কাজ করে। ৫ শ্রেণী ও ৮ম শ্রেনীতে একই ভাবে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে সে সবার নজরে পড়ে। এসএসসিতেও সে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে সবাইকে রীতি মত তাক লাগিয়ে দেয়। পরে ভবানীগঞ্জ মহিলা কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করে মডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

মৌসুমী জানান, মৌসুমীসহ ২ বোন আর এক ভাই নিয়ে গ্রামের ছোট্র কুঁড়ে ঘরে বসবাস করে। তাকে খুব কষ্ট করে পড়া শুনা করতে হয়েছে। নিজের বই না থাকায় বন্ধু বান্ধুবীদের বই ধার করে পড়তে হয়েছে। আলোর অভাবে অন্যদের বাসায় ঘন্টার পর ঘন্টায় পড়া লেখা সময় আমি কাটিয়েছি। বাবাকে কখনও দেখিনি। তবে লেখা পড়ায় মা, ভাই, বোন, প্রতিবেশী ও শিক্ষকদের যথেষ্ট সহযোগীতায় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। মৌসুমীর মা আমেনা জানান, এখানকার পরিবেশ মৌসুমীর লেখাপড়ার জন্য মোটেই অনুকূলে ছিল না। এক দিকে অর্থের অভাব অন্য দিকে পারিপার্শ্বিকতায় পড়ালেখা এগিয়ে নিতে যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। অবশেষে এক সময়ে তার বিয়ের জন্য ব্যবস্থা নিয়ে ছিলাম। মেয়ের অনিচ্ছায় তা না দিয়ে পুনরায় চাতালে ভবানীগঞ্জ অছির ডিলারের বয়লারে আমি শ্রমিকের কাজ নিয়ে মেয়ের লেখা পড়ার ব্যবস্থা করি। ছোট বেলায় বাবা থেকেও নেই তার। বাবা কছির উদ্দিন ৩ ছেলে মেয়ে ছেড়ে অন্য জায়গায় একাধিক বিয়ে করে ঘুরে বেড়াই। ছেলে-মেয়েদের কোনই

খোঁজ নেননি। এমন কি আমার মেয়ে তার বাবা কেউ দেখেনি। এমন অসহায় ভাবে জীবন কাটে তাদের। ছোট বেলা থেকেই মেয়ের ইচ্ছা সে ডাক্তার হবে, আল্লাহ্ পাক তার আশা পূরণ করেছে কিন্তু অর্থেও অভাবে তার ভর্তি ও ডাক্তারী পড়া লেখা এখন অনিশ্চিত হয়েছে। আমাদের পক্ষে এত খরচ বহন করা সম্ভব না। মৌসুমীর মা আমেনা বেগম তার মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম বলেন, ইচ্ছাশক্তি, মেধ ও অদম্য আগ্রহ মেয়েটির সাফল্য অর্জন করেছে। উপজেলা পরিষদ থেকে মৌসুমীকে আর্থিক সহযোগীতা করা হবে। তিনি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।