রয়েল খান স্পোর্টস ডেস্ক: এল ক্ল্যাসিকো মহারণের প্রথমার্ধে কেউ কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পরই রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেললো লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। ১০ মিনিটের ব্যবধানে রোনালদোর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের জালে ২ বার বল জড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। যার একটি এসেছে লুইস সুয়ারেজের পা থেকে। অন্যটি এসেছে মেসির পা থেকে, পেনাল্টি কিকের মাধ্যমে।
খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে (৯০+৩ মিনিটে) লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকে বল পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জালে তৃতীয়বারের মতো বল জড়িয়ে দেন আলেক্সি ভিদাল।
৫৪ মিনিটে কয়েকবারের চেষ্টায় প্রথম রিয়ালের জালে বল জড়াতে সক্ষম হন লুইস সুয়ারেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। খেলার ৬৩ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ইচ্ছে করে হাত দিয়ে বল ঠেকানোর কারণে দানি কারভাহলকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি। একই সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান তিনি। স্পট কিক থেকে রিয়ালে জালে বল জড়ান মেসি।
এর আগে প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনার কেউ কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। মুহুর্মুহু আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে দুর্দান্ত উপভোগ্য হলেও ম্যাচের আসল প্রাণ গোলের দেখাই পেলো না কেউ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একটি গোল করলেও রেফারি অফ সাইডের অজুহাতে সেই গোল বাতিল করে দেন।
প্রথমার্ধে বল পজেশনে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদই। ৫২ ভাগ বল ছিল তাদের দখলে। ৪৮ ভাগ ছিল বার্সার ভাগে। গোল পোস্ট লক্ষ্যে শটও নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ বেশি, মোট ৯টি। কিন্তু একটিও বার্সার জাল খুঁজে পেলো না।
অন্যদিকে বার্সেলোনা শট নিয়েছিল মোট ৪টি। এর মধ্যে দুটি ছিল নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দূরন্ত ক্ষিপ্রতায় এই দুই যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হলো গোলশূন্যভাবেই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ