নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে নিজ বাড়ি থেকে জেসমিন নামে এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার হালসা গ্ৰামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেসমিন স্থানীয় আবুল খায়ের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং একই গ্ৰামের জমসেদ আলীর পালিত কন্যা। তার জন্মদাতা পিতা একই গ্ৰামের আব্দুল হাকিম।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেসমিন তার পালক পিতার বাড়িতে রাত্রিবেলা খাওয়া দাওয়ার পরে ঘরে শুয়ে পড়ে। সকালে দরজা না খোলায় প্রথমে পরিবারের লোকজন ভাবে যে সে অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে তাই উঠতে দেরি হচ্ছে। পরে বেলা ১১ বেজে গেলেও দরজা না খোলায় তাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না।
এরপর জমশেদ আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বিছানার ওপর তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তাদের ধারণা ঘুমের মধ্যে সে হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। পরে তড়িঘড়ি করে তারা দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে। এতে জেসমিনের জন্মদাতা বাবা আব্দুল হাকিমের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে হাকিম পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সুরতহাল রিপোর্টে জেসমিনের বুকে আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়। অধিকতর তদন্ত করলেই বোঝা যাবে মারা যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পালক পিতা জমসেদ, তার ছেলে মাসুম, জামসেদের বাড়ির পাশের সিমেন্টর খুঁটি তৈরির কারখানার শ্রমিক গজারিয়া গ্ৰামের শাকিল (২২) ও আলম(৩০)কে আটক করেছে।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে