বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ অঞ্জলী কুমার দাস (৬৭)। প্রায় ৭ বছর আগে স্বামী মনোরঞ্জন কুমার দাস মারা গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি অন্য মানুষের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসার চালান। এ যাবত পর্যন্ত তার কপালে জোটেনি সরকারি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাষ্যপাড়া মহল্লার টিনের একটি ছাপরা ঘরে অঞ্জলী কুমার দাস বাস করেন। সেই ঘরের দরজা, জানালা নেই। আছে একটি নড়বড়ে চকি। তার দুটি ছেলে এক ছেলে সাইকেল মেকার। দিন আনে দিন খায় অবস্থা।
আরেক ছেলে রঞ্জিত কুমার দাস।
আড়ানী পৌর বাজারের তালতলার তালগাছের গোড়ায় ভাংগা একটি টেবিলের উপর কয়েকটি কাপ নিয়ে চা বিক্রি করেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে দু’জনেই প্রতিবন্ধী।
ছেলে রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, আমি ১৬ বছর যাবত আমার বড় মেয়েকে নিয়ে অশান্তিতে আছি। কেউ কখনো সহযোহিতা করেনি। আমার মায়ের বয়স প্রায় ৬৭ বছর। মাকেও কোন সহযোগিতা করা হয়নি। আমার স্ত্রী হাপানি রোগী তার জন্য প্রতিদিন ৪০ টাকার ওষুধ লাগে। সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
অঞ্জলী কুমার দাস বলেন, এত বয়স হলেও বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড পায়নি। একটি কার্ড পেলে ছেলে নাতী-নাতনীদের নিয়ে ভালভাবে চলতে পারতাম। কিন্তু আমরা গরীব তাই আমাদের কোন দাম নেই।
আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক রাজ বলেন, তার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড নেই। তবে তাকে ভিজিএফ এর চাউল বরাদ্ধ দেয়া আছে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।