স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সভা- সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মূল দলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ঘোষিত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কাদের বলেন, ‘বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে জয়যুক্ত করে দেয়ার গ্যারান্টি। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বার বার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের লাশ উপহার দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো।’
তিনি বলেন, ‘জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা, করোনার অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিটি খাতে ফিরতে শুরু করছে চাঞ্চল্য।’
বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে গঠিত রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলো, সেই ফ্রন্ট ছিল ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা ছোঁড়াছুড়ি, আর একজন আরেকজনকে বহিষ্কারই সে ফ্রন্টের সফলতা ছিল।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পট পরিবর্তন এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর সরকার দৃষ্টি রাখছে।’
জেএন