ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে নন্দীগ্রাম। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আসল লড়াইটাই হবে নন্দীগ্রামে। এরই মধ্যে নন্দীগ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আর এ কারণে নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন করতে ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি নন্দীগ্রামের নির্বাচনের পর বাড়তি নজর দিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিশেষ একটি সেলও গঠন করা হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকে রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে এসেছে নন্দীগ্রাম। জমি দখলে রাখার আন্দোলনে নন্দীগ্রাম অন্যতম একটি নাম। সেই জমি দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি এবং তার এক সময়ের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী আগামীকাল নন্দীগ্রামের নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন। তাই এই আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বেড়েই চলেছে।
নন্দীগ্রামে ৩৫৫টি নির্বাচনী বুথের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি কোম্পানিতে ৭১ থেকে ৭২ জন করে মোট ১৬০০ জন সদস্য থাকবে। এছাড়াও থাকবে রাজ্য পুলিশ। সোমবার পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নন্দীগ্রামের ৭৫ ভাগ বুথ ওয়েবকাস্টিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকছে। ফলে ৩৫৫টি বুথের মধ্যে ২৬৭টি বুথে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই ক্যামেরার ভিডিও সরাসরি নির্বাচন কমিশন দেখতে পাবে। আবার প্রতিটি বুথে একজন করে মাইক্রো অবজার্ভার থাকছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওয়েবক্যামের নেটওয়ার্ক যাতে সচল থাকে সেই ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জেএন