1. abir.rajshahinews@gmail.com : Abir k24 : Abir k24
  2. bulbulob83@gmail.com : bulbul ob : bulbul ob
  3. shihab.shini@gmail.com : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. omorfaruk.rc@gmail.com : khobor : khobor 24
  5. k24ghonta@gmail.com : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. omorfaruk.rc@gamail.com : omor faruk : omor faruk
  7. royelkhan700@gmail.com : R khan : R khan
হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হচ্ছেন ৩ হাজার - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানয়ারী ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন

হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হচ্ছেন ৩ হাজার

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের কাছের একটি গ্রামের ৩ হাজারেরও বেশি দলিত জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অঞ্চলটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে সামাজিক বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওই দলিত বাসিন্দাদের।

জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাই থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নাদুর গ্রামের কাছে প্ৰবল বৃষ্টির কারণে একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে নারী-শিশুসহ ১৮ জন দলিতের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পরে পুলিশ ওই ভেঙে পড়া পাঁচিলের বাড়ির মালিক শিবসুমব্রমানিয়মকে গ্রেপ্তার করলেও পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় সে। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের থেকে দলিতদের পৃথকভাবে বাস করতে বাধ্য করার জন্য ওই পাঁচিল তোলা হয়েছিলো বলে অভিযোগ দলিত বাসিন্দাদের। ১৫ ফুট লম্বা পাঁচিলটি কোনো রকম পিলার ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল।

শিবসুমব্রমানিয়মের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতির নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করার কথা বললেও পুলিশ তা এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও শুধুমাত্র দলিত হওয়ার কারণে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ওই দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঘোষণা করেছে যে আগামী ৫ জানুয়ারী ১৭ জন মৃতের পরিবারের সদস্যসহ মোট প্রায় ৩০০০ দলিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।

দলিতদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলাভেনিল বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী তাকে ২০ দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু সংগঠনের সভাপতি নাগাই তিরুভল্লুয়ান গণতান্ত্রিক উপায়ে ন্যায় বিচার চাইতে গেলে তাকে আটক করা হয়।’

বর্ণহিন্দুদের দ্বারা নিপীড়নে অতিষ্ঠ স্থানীয় দলিতরা। ইলাভেনিল বলেন, ‘নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমাদেরকে কূপ থেকে পানি খেতে দেয় না। মন্দিরের ধারে কাছে যেতে দেয় না। রাস্তায় ধরে মারধর করে আবার মামলাও দেয়। আমাদেরকে বলা হয়েছে রাস্তায় যেন মোবাইল ফোনে কথা না বলি। কী ধরনের অমানবিক আচরণ এগুলো?’

এই ঘটনার মাধ্যমে তামিলনাড়ুর সামাজিক জাতিগত বৈষম্যের চিত্রটি আরও প্রকট হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST