পুঠিয়া রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর পুঠিয়ার জিউপাড়া গাওপাড়া ঢালানে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে দেবর আব্দুল খালেকর কাছে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেন অভিযোগ তুলেছেন লতা বেগম নামের এক নারী। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েকমাস থেকে এই মহিলা তার স্বামীর বাড়িতে উঠার জন্য থানা বা পৌরসভাসহ বিভিন্নস্থানে চেষ্টা চালায়। কিন্তু কেউই স্বামীর বাড়ি বিষয়ে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে দ্বারস্থ হয় সে। তারা আশ্বাসও দেন তাকে সঠিক সমাধান করে দেবেন কিন্তু তার দেবর টাকা পয়সা দিয়ে সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণে কোন বিচার না পেয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সে তার স্বামীর বাড়িতে উঠে । সেই বাড়িতে তার দেবর আব্দুল খালেক সংসার করছে দীর্ঘদিন যাবত। বাড়িতে লতা বেগমের আশাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে একজন দর্জি এসে পেছন থেকে লতাকে ধরে এবং লতার দেবর আব্দুল খালেক লতার শ্লীলতাহানিরর চেষ্টা করে।
পরে তার চিৎকারে অনেক মানুষ জড়ো হলে দর্জি সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং তার দেবর স্থানীয় বখাটে ছেলেপেলে ডেকে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসলে বহিরাগত ছেলেরা সেই বাড়ির বারান্দার লাইট অফ করে মেয়েটিকে পুলিশের সামনে টেনে হেঁচড়ে রাস্তাতে নিয়ে আসে কিন্তু পুলিশ এই অবস্থাতেও মহিলার পক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো তাকে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্থ করে সবার সামনে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন বলেন, রাত এগারোটার দিকে ওই মহিলাকে থানায় আনা হয়েছে। তার দাবি সম্পর্কে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।
বিএ..