1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
স্বামীর খুনি সেই স্ত্রীর জামিন মেলেনি - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ১২ জানয়ারী ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

স্বামীর খুনি সেই স্ত্রীর জামিন মেলেনি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ সেপটেম্বর, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ইট দিয়ে থেঁতলে, পরবর্তীতে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরে থাকা ওয়ার্ডরোবে মরদেহ রেখে দেয়া গাজীপুরের শ্রীপুরের সেই স্ত্রী জীবন্নাহারের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। অন্যদিকে, আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাফসিরুল ইসলাম।

বশির উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গিলার চালায় জীবন্নাহার নামে এক মহিলা তার স্বামী রফিকুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহটি ওয়ার্ডরোবে ঢুকিয়ে রাখেন। পরের দিন মরদেহ বের করে দুই পা, দুই হাত ও মাথা কেটে আলাদা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়। নৃশংস ওই ঘটনায় জীবন্নাহারকে হাইকোর্ট জামিন দেননি।

ঘটনার পর জীবন্নাহারকে আটক করা হয়। গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জীবন্নাহার তার স্বামী রফিকুল ইসলামের খুনের বর্ণনা দেন।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, পাঁচ বছর আগে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার উলামাকান্দি এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিষমপুর গ্রামের চাঁনমিয়ার মেয়ে জীবন্নাহারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মারিয়া আক্তার রোজা নামের চার বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। রোজা বেশির ভাগ সময়ই তার নানীর বাড়ি থাকতো। ঘটনার দিন রোজা বাসায় ছিল না।

চাকরির সুবাদে স্বামী রফিকুল ইসলাম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া এলাকার আব্দুল হাই মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রফিকুল স্থানীয় ‘হাউ আর ইউ’ টেক্সটাইল কারখানায় লোডার পদে এবং স্ত্রী স্থানীয় মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় সুয়িং অপারেটর পদে চাকরি করতেন। স্বামী বেতন পেতেন সাত হাজার টাকা আর স্ত্রী পেতেন ১৩ হাজার টাকা। বিভিন্ন সময় স্ত্রীর কাছে বেতনের টাকা দাবি করতেন রফিকুল ইসলাম। কিন্তু জীবন্নাহার বেতনের টাকা তার কাছে না দিয়ে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো এবং স্ত্রী জীবন্নাহার স্বামী রফিকুলকে ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দিতেন।

২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সকালে এসব নিয়ে স্বাম-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরে স্বামী খাটে শুয়ে থাকেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্ত্রী জীবন্নাহার ইট দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন। রফিকুল ইসলাম খাট থেকে নিচে পড়ে যান। জীবন্নাহার উপর্যুপরি ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে স্বামী অচেতন হয়ে পড়েন। পরে গামছা দিয়ে রফিকুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরে থাকা ওয়ার্ডরোবে মরদেহটি লুকিয়ে রাখেন জীবন্নাহার। ওই অবস্থায় তিনি কারখানায় চলে যান।

কারখানা থেকে রাতে বাসায় ফিরে মরদেহটি ওয়ার্ডরোব থেকে বের করে বটি দিয়ে দুই হাত কনুই থেকে, দুই পা হাঁটু থেকে এবং ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে মাথা-হাত-পার বিচ্ছিন্ন অংশ বস্তায় ভরে পাশের বাঁশ ঝাড়ে, অদূরে টয়লেটের পাশে এবং মাথা, দুই হাতের অংশগুলো ময়লার ড্রেনে ফেলে দেন। পরের দিন সকালে এলাকাবাসী বাঁশ ঝাড়ের নিচে রক্তমাখা বস্তা ও মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। দুপুরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেন এবং স্ত্রী জীবন্নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদকালে জীবন্নাহার খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।

শ্রীপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে রফিকুলের বাবা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে জীবন্নাহারকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আটক জীবন্নাহারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST