শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: রেজিস্ট্রি কাবিনমুলে বিয়ের ১২ দিনের মাথায় মারপিট করে ভূয়া অভিভাবক সেজে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর ও মোহরানার লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় টাউন শ্রেনীর লোকের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুরের আড়ংশাইল গ্রামে। এ ঘটনায় স্ত্রীর বৈধতা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শাফিয়া খাতুন।
শনিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার আমিনপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে শাফিয়া খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আড়ংশাইল গ্রাম(ব্র্যাক বটতলা) এলাকায় বসবাসরত এনামুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম শান্তর সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে গত ১৩জুন শেরপুর পৌর কাজি অফিসে ১ লাখ টাকা মোহরানায় রেজিস্ট্রি কাবিনমুলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীর অধিকার পেতে গত ২৪ জুন বিকালে তার স্বামী শান্ত’র বাড়ীতে গিয়ে উঠলে ওই পরিবার তাকে অস্বীকৃতি জানিয়ে শাফিয়াকে মারপিট শুরু করে।
পরদিন ২৫জুন আবারো মারপিটের পর ভবানীপুর ইউপি সদস্য শামীম আহম্মেদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমিনপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম ও আব্দুল মজিদকে ডেকে আনে শান্তর স্বজনেরা। এক পর্যায়ে শান্তর পরিবার মির্জাপুর ইউনিয়ন কাজি আব্দুস সালামকে বাড়িতে এনে শাফিয়াকে আবারো মারপিট করে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয় এবং
ভূয়া অভিভাবক হামিদুল ও আব্দুল মজিদ মোহরানার টাকা আত্মসাৎ করে। পরে শাফিয়ার পরিবার তাকে উদ্ধার করে শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এঘটনায় শাফিয়া বাদি হয়ে স্বামীর বৈধতা ফিরে পেতে ২৬ জুন শেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও অজ্ঞাত কারনে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় নানা উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতা ভূগছেন।
স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিলে নিজেকে আত্মহত্যা করবে বলে ভূক্তভোগী শাফিয়া খাতুন জানান।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন