1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও সমাবেশ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও সমাবেশ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তিব্বতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতাকামী তিব্বতের নাগরিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ পরিষদের সম্পাদক প্রমথ বড়ুয়া, সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাওলাদার, দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “বিশ্বের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী বিশ্বের সকল শোষিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষদের অধিকার নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এর ধারাবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারী তিব্বতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতাকামী তিব্বতের নাগরিকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আজ শাহবাগে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “তিব্বতের ওপর দমন পীড়ন অব্যাহত রাখতে এবার চীন তিব্বতি এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং বিদেশে অবস্থানরত আত্নীয়দের ওপর নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এছাড়াও তাদের মধ্যকার অনলাইন যোগাযোগ সীমাবদ্ধ করেছে। এতোদিন বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত তিব্বতিরা তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মারখাম প্রদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিনামূল্যে সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাট অ্যাপের উপর নির্ভর করত। তবে চীন তার নজরদারি জোরদার করার পর সেই অ্যাপগুলো আর সঠিকভাবে কাজ করছে না।”

বৌদ্ধদের নেতা প্রমথ বড়ুয়া বলেন, “জাতিসংঘের নিকট আহবান তিব্বতিদের স্বাধীনতাসহ সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিব্বত আগে হিমালয় অঞ্চলের একটি স্বাধীন দেশ ছিল। ১৯৫০ সালে এক আগ্রাসনের মাধ্যমে চীন দেশটির দখল নেয় এবং তখন থেকে দেশটি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা শাসিত হয়েছে। নিকটবর্তী চীনা প্রদেশগুলোর আশেপাশের তিব্বত অঞ্চলগুলোতে চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্ম, মত প্রকাশ, চলাচল এবং সমাবেশের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে স্থানীয় কর্মকর্তারা তিব্বতিদের খনি ও জমি দখল করে নেয় এবং যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালানো হয়।

চীন সরকার ২০২০ সালের নভেম্বরে অনলাইন যোগাযোগের উপর নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার যে ঘোষণা দিয়েছিল, তাতে দাবি করা হয়েছিল যে এসব যোগাযোগ জাতীয় ঐক্যকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং ২০২১ সালে অনলাইনে অপরাধের অভিযোগে তিব্বতিদের আটকে রাখাও হয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট আমরা তিব্বতিদের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিলন ঢালী বলেন, “তিব্বতীরা, তারা যে কারণেই চীনের বাইরে কোন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করুক না কেন, তাদের হয়রানি এবং শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। চীনের কট্টরনীতি নির্বাসিত তিব্বতিদের জন্য তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা আরও কঠিন করে তুলেছে। বহির্বিশ্বে তথ্যের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য চীন নির্বাসিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তিব্বতের তিব্বতিদেরও ট্র্যাক করছে। সেইসঙ্গে চীনা সরকার তিব্বতিদের বাইরের প্রাপকদের কাছে অর্থ স্থানান্তরও নিষিদ্ধ করা শুরু করেছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাওলাদার বলেন,
“তিব্বতিদের ভিন্নমতের কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য, চীন সরকার রাজনৈতিক প্রচারণায় জড়িত নির্বাসিত তিব্বতি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাংবাদিকদের তিব্বতের অভ্যন্তরে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা আরও কঠিন করে তুলছে।

তিব্বতিদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট আহবান জানাচ্ছি।
বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST