সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদে একদিনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২১ ডিসেম্বর সারা দেশে কালো ব্যাজ ধারণ অথবা কালো পোশাক পরিধান এবং কেন্দ্রসহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন। শনিবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় বেশকিছু বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত নতজানু সরকারের দুর্বল নীতির কারণে সীমান্তে হত্যা বিরামহীনভাবে চলছে। মানবিক অধিকার লঙ্ঘন করে এভাবে হত্যার পরও সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে, যা জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য নতজানু সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এতে মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের সদ্য প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রহমান, বেগম নুরজাহান ইয়াসমীন, বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি আহমেদ সাজার, সাবেক সচিব শহিদুল আলম, দৈনিক সংবাদের সম্পাদক খন্দকার মনীরুজ্জামানসহ কোভিড ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
২০ দলীয় জোটের নেতা মাওলানা নুর হোসেইন কাসেমীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দেশের ২৮টি পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে নির্বাচনের তামাশা করছে এবং প্রতিটি নির্বাচনে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাচ্ছে। ইভিএম ব্যবহার করে ভোট জালিয়াতির পথকে আরও সহজ করছে।
জেএন