সংঘর্ষের কারণে অবশেষে ভণ্ডুল হয়ে গেল সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবির ভোটগ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এরপর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সমুদয় ব্যালট পেপার ও ভোট বাক্স জব্দ করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোটের বিষয়ে আইনজীবীদের একাধিক গ্রুপ সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ধাক্কাধাক্কি, মারামারি, কিল চড়, ঘুষি এবং ভাঙচুরের ফলে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন ও চত্বর যেন এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ হাঙ্গামা বন্ধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এসব ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলমসহ কমপক্ষে ১০ আইনজীবী আহত হন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। পুরো আদালত চত্বরজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আইনজীবী সমিতি জানিয়েছেন, আবুল হোসেন ও রেজোয়ানুল্লাহ্ সবুজ নেতৃত্বাধীন জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটির মেয়াদ ২৭ জানুয়ারি শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। বিভক্ত আইনজীবীরা পৃথকভাবে ভোটগ্রহণের জন্য দুটি পৃথক কমিশন গঠন করে নির্বাচনের জন্য পৃথক দিন নির্ধারণ করেন।
এতে সংঘাতের আশঙ্কায় সাতক্ষীরা সদর ও তালা কলারোয়া আসনের দুজন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহ আইনজীবীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। পরে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট নুরুল আলমকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ছয় সদস্যের কমিশন ভোটগ্রহণ শুরু করে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবির জানান, সকালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। বিভক্ত আইনজীবীরা মারামারি ও হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এর পরই ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
বিএ/