সাংবাদিকদের অর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। রাজশাহী বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে দুইঘন্টা ব্যাপী চলে এই সভা। তিনি বলেন, অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের ফলে গণমাধ্যমের মালিকরা লাভবান হলেও সংবাদকর্মীদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। সরকারের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতাদেরও ভূমিকা আছে। ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হলেও তা বাস্তাবায়ন দেখিয়ে সাংবাদিক নেতারা স্বাক্ষর দিয়েছেন। ফলে বিজ্ঞাপনের রেট
বাড়ায় লাভবান হয়েছেন মালিকরা। সাংবাদিকদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় গণমাধ্যমের সংখ্যার যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আগামীতে যে সরকারই আসুক তাদের কাজে আসবে। সেই লক্ষ্যেই সংস্কার কমিশন সুপারিশমালা তৈরি করছে। এর আগে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে আগত সাংবাদিকরা শক্তিশালী প্রেস কাউন্সিল গঠন, গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, ডিএফপির সংস্কার, ন্যূনতম বেতন মজুরী নির্ধারণ, অনলাইন নীতিমাল বাস্তবায়নসহ সব ধরনের কালো আইন বাতিলের সুপারিশ করেন।
কামাল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী যে আন্দোলন হলো, সেটা অনেকেই বিপ্লব বলছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা দেখলাম গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থার ঘাটতি। এ কারণে এক প্রকারের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ক্ষোভের যে বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায়। টেলিভিশন কেন্দ্র আক্রান্ত হয়েছে, সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয়েছে, বিভিন্ন প্রেসক্লাব আক্রান্ত হয়েছে। এটা শুধুমাত্র ক্ষোভের কারণে।
নই