1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সরকারের দুর্নীতির প্রকাশ ঠেকাতেই ৩২ ধারা: রিজভী - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

সরকারের দুর্নীতির প্রকাশ ঠেকাতেই ৩২ ধারা: রিজভী

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা সংযোজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। একই আইনে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর সমালোচনায় কঠিন সাজা রাখারও বিরোধিতা করেছেন তিনি।

রিজভী বলেন, মধ্যযুগে রাজা, তাদের পরিবারের সদস্য বা মুকুটের বিষয়ে সমালোচনা করলে শূলে চড়ানো হতো। এমন বিধানও ফিরিয়ে আনতে চাইছে সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারার নিন্দা জানিয়ে সেটি পাস না করতে সংসদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।

সোমবার মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইন পাস হলে তথ্য প্রযুক্তি আইন বিলোপ হবে। ওই আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। আবার সাইবার নিরাপত্তার বেশ কিছু বিষয়েও আইনের তাগাদা অনুভব করছিল সরকার। এই সবগুলো বিষয় একটি আইনে সন্নিবেশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

কিন্তু প্রস্তাবিত এই আইনের বিশেষ করে ৩২ ধারা নিয়েও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এতে বলা আছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থার কোন গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ারর্কে ধারণ, প্রেরণ, সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটা হবে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।’

এই আইনে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর আর এই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড।

রিজভী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিলোপ করে নতুন আইনের ৩২ ধারায় যা উল্লেখ করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় নিপীড়নমূলক ও আইনটি মানবতাবিরোধী। এর ফলে নিপীড়নের শিকার হবে সাংবাদিকরা, থাকবে না বাক স্বাধীনতা।

‘এটি আরও একটি কালো আইন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আইনটি পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে কিছ্ইু থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছু থাকবে না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ’৩২ ধারার আওতায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নতুন করে নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে পারেন সাংবাদিকরা। এ আইনে বাকস্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকামীরাই ক্রিমিনাল হিসেবে অভিহিত হবে। ফিরে যাওয়া হবে মধ্যযুগের অন্ধকারে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিকৃত তথ্য বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রচারণা বা প্রোপাগান্ডার জন্যও ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এমন বিধান রাখারও সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার সংবিধানে ১৭৯১ সালে তারা বলেছিল, সংসদ বাকস্বাধীনতা খর্ব করে কোনো আইন পাস করতে পারবে না। ওটা হল গণতন্ত্র। পনের শ, ষোল শ এবং সতের শ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানিতে বড় বড় রাজা করতেন। তারা তখন আইন করতেন রাজার ব্যাপারে, তাদের পুত্র, কন্যা, তাদের ড্রেস ও মুকুটের ব্যাপারে- কোনো বিরূপ মন্তব্য করলে শূলে চড়ানো হবে। হাজার হাজার লোককে মধ্যযুগে শূলে চড়ানো হয়েছে। মধ্যযুগ আর গণতন্ত্রের পার্থক্য হল- গণতন্ত্রে সবাই কথা বলতে পারবে।’

বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আসাদুল কবির শাহীন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST