বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার চাল) ৩৩০ কেজি চালসহ আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দামগাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে শিবগঞ্জ থানা–পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জা গোলাম হাফিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়েরের জন্য চাল উদ্ধারের নথি দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়েরের সুযোগ নেই পুলিশের। এ জন্য তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নথি পাঠানো হয়েছে। সরকারি চালসহ চেয়ারম্যানকে হাতেনাতে আটক করায় তাঁকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, থানা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নথি দুদক কার্যালয়ে পৌঁছার কথা। নথি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিবগঞ্জ থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাঝিহট্ট ইউপির চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ বিএনপির সমর্থক। তবে কোনো পদে নেই তিনি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ থানা–পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৩০ কেজি চাল পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যান মাঝিহট্ট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মীর শাহে আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।