1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি, ক্লাসে ফিরতে বাধা রইল না রাবি শিক্ষক তানভীরের - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন

সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি, ক্লাসে ফিরতে বাধা রইল না রাবি শিক্ষক তানভীরের

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষিকা আকতার জাহানের আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর সাবেক স্বামী একই বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে প্ররোচনাসহ অন্য অভিযোগগুলোর সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। ফলে শিক্ষক তানভীরকে ক্লাসে ফেরার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাবি সিন্ডিকেটের দুই জন সদস্য জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের আত্মহত্যার ঘটনার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে। তারা আকতার জাহানের মৃত্যুতে তানভীরের প্ররোচনার অভিযোগ তোলে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬৯তম সিন্ডিকেট সভায় অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

সিন্ডিকেট সদস্যদ্বয় আরও জানান, ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৭০তম সিন্ডিকেটে ফের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওই সিন্ডিকেট সভায় তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‘বিশেষ ছুটি’ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে সম্প্রতি ওই কমিটি সিন্ডিকেটে প্রতিবেদন জমা দেয়। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়। প্রতিবেদনে আকতার জাহানের আত্মহত্যার ঘটনায় তানভীর আহমেদের কোনো দায় থাকার সত্যতা মেলেনি। একই সঙ্গে অন্য অভিযোগগুলোর প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। ফলে তাকে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে ক্লাসে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে শিক্ষক আকতার জাহানের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে ‘শারীরিক ও মানসিক’ চাপের কারণে আত্মহত্যা করেন তিনি। সুইসাইড নোটের শেষ দিকে আকতার জাহান লেখেন, সোয়াদকে (আকতার জাহান ও তানভীর আহমেদের সন্তান) যেন তার বাবা (তানভীর) কোনোভাবে নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে, সে সন্তানকে যেকোনো সময় মেরেও ফেলতে পারে।

সুইসাইড নোটে এমন বক্তব্যে সাবেক স্বামী তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে আকতার জাহানকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করার অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় বিভাগের ১৬ জন শিক্ষকও তানভীর আহমেদের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সভাপতি তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি আকারে পাঠিয়ে বিষয়টি সুরাহা করার অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, আকতার জাহানের মৃত্যুর পরদিন তার ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সেখানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান রাজাকে আসামি করা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়- ‘তানভীর আহমেদের সঙ্গে ডিভোর্সের পর বিভাগের জুনিয়র সহকর্মী আতিকুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জাড়িয়ে পড়েন আকতার জাহান। কিন্তু আতিকুরের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় আকতার জাহান আত্মহত্যা করেন।’ বর্তমানে মামলাটি রাজশাহী মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST