জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার শেরপুর পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির তালিকা ভূক্ত হলেও শহরবাসি প্রথম শ্রেণির সেবা থেকে বঞ্চিত। শহরের প্রতিটি সড়ক যেমন অবহেলিত অনুরুপ ভাবে পুরো শহর জুড়ে শুকুর দলের অবাধ বিচরন পুরো শহরবাসিকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে শহরের নাগরিকবৃন্দ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে সমস্যা নিরশনের জন্য পৌর জনপ্রতিনিধি ও পৌর প্রসাশনকে একাধিকবার অবগত করলেও তা কোন কাজে আসেনি।
জানা যায়, প্রাচীন এই শহরটি প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা। শুকুরের উপদ্রব স¤প্রতি খুব বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। শহরের ৫নং ওয়ার্ডের একজন বাসীন্দা জানান শুকুরের উপদ্রব এতোটাই বেশী যে, অনেক সময় রাস্তায় বের হওয়া যায়না। সারা শহরেই শুকুরের অবাধ বিচরন। পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে শুকর দল বেঁেধ ঘোরাফেরা করায় শিশু কিশোররা অনেক সময় ভীত হয়ে পড়ে। তাছাড়া বৃষ্টি হলেই শুকুরের মলমূত্র ভেসে উঠে এবং দুর্গন্ধে ছেয়ে যায়।
শেরপুর শহরের একজন বিশিষ্ট নাগরিক ফেরদৌস রহমান বলেন, শুকুরের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এখান থেকে আমরা পরিত্রান চাই।
৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকসেবার মান আরও বাড়াতে হবে। শহরের রাস্তা ঘাট সহ অলি গলিতে শুকুরের অবাধ বিচরন বন্ধ করতে পৌর প্রশাসনের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার জানান, শুকুরের উপদ্রব লাঘবের জন্য ইতিপুর্বে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছিল। শুকরের মালিকদের খোয়াড়ে শুকুর রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাছাড়া প্রায় ২০/২২টি কুকুর নিধন করা হয়েছিল। এখন করোনার কারনে সবাই ব্যস্ত থাকায় শুকুরের উপদ্রব আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। অচিরেই আবার শুকুর নিধনে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই