1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শেরপুরে বেরো সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক অর্জনেই অভিযান শেষ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন

শেরপুরে বেরো সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক অর্জনেই অভিযান শেষ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি: বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে ধান-চালের বাজারমূল্য কিছুটা বেশি হওয়ায় বগুড়ার শেরপুরে চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহে ছিলধীর গতি। আর ৪ মাস অতিবাহিত হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত শেরপুরের খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে ১০৩ মেট্রিক টন ৪’শ কেজি, সেদ্ধ চাল ৬ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন ২৫০ কেজি, আতপ চাল ৫২ মেট্রিক টন ৮’শ কেজি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্ধেকের কম।
জানা যায়, এ বছর ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল ও ২৬ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম গত মে মাসে উদ্বোধন করা হয় শেরপুরের এলএসডি খাদ্য গুদামে। জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে সব সবচেয়ে বেশি শেরপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
উপজেলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন, চাল ১৫ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শেরপুরের দুটি গুদামে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১০৩ মেট্রিক টন ৪’শ কেজি । আর চালের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কেনা হয়েছে সেদ্ধ চাল ৬ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন ২৫০ কেজি, আতপ চাল ৫২ মেট্রিক টন ৮’শ কেজি। তাছাড়া চলতি মৌসুমে চাল সংগ্রহের অভিযানে উপজেলার ৪৫৩ জন চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
এ কার্যক্রম শুরু হলে উপজেলার ৪৫৩ জন মিলার (চালকল মালিক) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমাণ চাল খাদ্য বিভাগে নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হন। শুরুর দিকে সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় নিয়মিতভাবেই খাদ্য গুদামে চাল দিয়েছেন মিলাররা। সরকার নির্ধারিত বোরো সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে বাজারে প্রতি কেজি মোট চাল ও ধানে ২-৩ টাকা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গুদামে চাল সরবরাহে ধীরগতি ছিল মিলারদের। তাছাড়া করোনার কারণে মিলে শ্রমিক সংকট থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করা সম্ভবপর হয়নি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল হামিদ বলেন, প্রাকৃতিদূর্যোগ(আম্ফান) ফসলের ক্ষতিতে ধানের বাজারে আমদানি কম। তাছাড়া করোনা ভাইরাসে মিলে শ্রমিক সংকট, চাল ছাটাই, প্রসেসিং, কষ্টিং বৃদ্ধিতে সরকারের দেয়া মুল্যের চেয়ে মিলেই ২/৩ টাকা বেশী পড়ায় গুদামে চাল দিতে সমস্যা হয়েছে। তবে সংগ্রহের অভিযান শেষ হলেও সরকার যদি আমন মৌসুমে এ বরাদ্দগুলো সংযুক্ত করে দেয় তাহলে মিলাররা হয়তো অনেকটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই মিলার নেতা।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম জানান , বোরো সংগ্রহের চাল সরবরাহের জন্য উপজেলা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে যেসব মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তাদের চুক্তির পরিমাণ অনুযায়ী চাল সরবরাহ করছে। তবে চালের বাজার রেট বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অনেকাংশেই সম্ভবপর হয়নি। চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে আরো ১৫/২০দিন সময়বৃদ্ধি চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জেলা খাদ্য বিভাগ অফিস মারফত জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন ওই খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST