শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো চাষাবাদ। তাই শেরপুর উপজেলার কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ইরি-বোরো চাষে। ধানের দাম ভাল যাওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। আকাশের সূর্যের আলো কাঁদা-পানিতে ঝিলিক মেরে জানান দিচ্ছে বোরো ধানের রোপন সফলতা। দিনমজুররা এমনকি এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মহিলা শ্রমিকরাও কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশা উপেক্ষা করে কাঁদাপানির জমিতে নেমেছে ধানের চারা লাগাতে। যেন মাঠ জুড়ে রোপন করছে চাষীদের সোনালী স্বপ্নের বীজ। কদিন পরই ক্ষেত হয়ে উঠবে সবুজের সমারোহ।
শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের জন্য তারা মাঠে নেমেছে। কাজ করে চলছে চাষীদের সাথে। তাই এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। অনেেকর জমিতে শরিষা থাকায় এখনো তারা বোরো রোপণ করেনি। জমি থেকে শনিষা তোলার পর নির্ধারিত লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। উপজেলায় এবারের বোরো ক্ষেত চাষে সেচ দিতে ব্যবহার হবে ২৬৪ টি গভীর নলকূপ ৭ হাজার ৮৮ টি অগভীর নলকূপ যার মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত ১ হাজার ৮০টি, এলএলপি ১৩৯টি এবং সোলার পাম্প ২টি।
উপজেলার শালফা গ্রামের গ্রামের বোরো চাষী মোজাম্মেল হক ও ফরহাদ হোসেন, সাগরপুর গ্রামের কাশেম আলী, মির্জাপুর গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, মাঠে ধান লাগানো শুরু করেছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে। বোরো ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত দিনমজুর আব্দুল বারিক, ইদ্রিস আলী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সুরভী, কানন বালা সহ অনেকেই বলেন, এবার বোরো ধান লাগানোর কাজে ৪৫০-৫০০ টাকা করে হাজিরার কাজ করছি। দিনমজুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, এবার আমন ধান খুব ভালো হয়েছে। আমন ধানের বাজারদর ভালো পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকার
কারণে এবার বোরো ধান লাগাতে উৎসাহ বোধ করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ শারমিন আকতার বলেন, বোরো চাষিরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপন শুরু করেছে। এবার কৃষকরা ২৮, ২৯, ৫৮, ৮১ জাতের ধানের পাশাপাশি নতুন জাত ব্রিধান ৮৯ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়াও ব্রী ৬৩ জাতের ধানেরো ব্যাপক সাড়া পড়েছে। চাষীদের এই জাতের ধান আবাদের পরামর্শ বীজ সহায়তা এবং জাত সম্প্র্রসারণের জন্য প্রদর্শিত প্লট স্থাপনসহ আদর্শ বীজতলা তৈরি করার সকল সহযোগিতা কৃষি অফিস থেকে করা হচ্ছে।
জেএন