জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের বিনোদপুর এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি অবৈধভাবে দখল করে হাট বসার কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিনোদন থেকে বঞ্চিত এবং খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে তাদের। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ ওই মাঠটি দখল মুক্ত করাসহ মাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দখল মুক্ত সাইনবোর্ড। গত বৃহস্পতিবার বিনোদপুর হাট লাগলেও মাঠের ভিতরে বসানো হয়নি দোনকাপাট ও রাখা হয়নি বাঁশ।
জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দীর্ঘদিন ধরে লাগানো হয় হাট। শুরুতে স্কুল মাঠে হাটের দিন ছাড়া অন্যদিনে রাখা হয়নি বাঁশ ও কাঠের আসবাব পত্র। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্কুল মাঠে সপ্তাহে ৬দিন ২৪ ঘন্টায় রাখা হয় বাঁশ ও কাঠের আসবাব পত্র। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে খেলার মাঠ বাঁশ ও কাঠের আসবাবপত্রের দখলে থাকায় বিনোদন থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। আর এরই ভিতরে খেলতে গিয়ে ৩ বছর পুর্বে এক স্কুল ছাত্রের পায়ের ভিতরে বাঁশ ডুকে গুরুতর আহত হয়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ২২ ফেব্রæয়ারি শনিবার স্কুল টিফিনের সময় খেলতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুন (১১) পা-ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়। আহত সাদিয়া খাতুন বিনোদপুর গ্রামের দিনমুজুর নইমুদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ স্কুল মাঠে হাট বন্ধ করে মাঠটি দখল মুক্ত রাখতে মাইকিং করেন এবং স্কুল মাঠে ঝুলিায়ে দেওয়া হয়েছে দখল মুক্ত সাইনবোর্ড।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, এটা মুজিব বর্ষ আর এখন থেকে কোন প্রকার অবৈধ কাজ করতে দেওয়া হবেনা। স্কুল মাঠে হাট বসানো এটা অবৈধ কাজ। তাই শিক্ষার্থীদের বিনোদনের মাধ্যমে জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে পারে সে জন্য স্কুল মাঠ থেকে হাট তুলে দিয়ে দখল মুক্ত করা হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই