জাহাঙ্গীর ইসলাম, (শেরপুর বগুড়া) প্রতিনিধি: শীতকালীন সবজি শীমের বাম্পার ফলনের আশায় গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চাষিরা। চলতি বছরের টানা বৃষ্টি ও দুই দফা বন্যার পরে জমি প্রস্তুত করে বীজ বোপন করার পর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় স্বপ্ন বুনছে শীমের রাজধানীখ্যাত শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ এবং খামারকান্দি ইউনিয়নের চাষীরা।
আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত বোপন মৌসুম হলেও চলতি বছর বৃষ্টির কারণে তা পিছিয়ে আশ্বিনে শুরু করতে হয় কৃষকদের।
নানা প্রতিকূলতার মাঝেও সবুজ লকলকে গাছের মাথায় ফুল আশায় তা চাষীদের মনে আনন্দের দোল দিচ্ছে। বর্তমান বাজারদর ভালো হলেও বিভিন্ন পোকার আক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চাষীদের কপালে। তারপরও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একেকজন চাষী যেন নিজেরাই ফসলের ডাক্তার, শত রোগবালাইয়ের মাঝেও থেমে নেই শিম গাছের পরিচর্যা।
শেরপুর উপজেলার রামনগর এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন জানান, চলতি বছর বৃষ্টির কারণে একটু দেরিতে আশ্বিনের মাঝামাঝি বীজ বপন করতে হয়েছে। গাছ মাচায় উঠে ফুল এসেছে। অল্প পরিমাণ ফলন আসলেও কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ ফলন পাওয়া যাবে। তবে গাছের সাদা পোকা সহ নানা ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণে দিশেহারা অবস্থা। বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কিনেও পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকানো কষ্টকর হচ্ছে।
খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি উত্তর পাড়ার শীম চাষি শামীম হোসেন বলেন, সেই বাপ দাদার আমল থেকেই শিম চাষ করছি। সময়ের সঙ্গে শিম গাছের রোগবালাই ও বাড়ছে। চলতি বছর দেরিতে বীজ বপন করায় দেরিতে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের আক্রমণের থাকাতে প্রতি সপ্তাহেই ঔষধ দিতে হচ্ছে ফলে খরচ বাড়ছে। তবে এখনো পর্যন্ত গাছের চেহারা ও ফুল ভাল ফলনেরই বার্তা দিচ্ছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আক্তার জানান, শেরপুরে এবার প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে শিম সহ অন্যান্য সবজি চাষ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। শীম চাষীদের পরামর্শ দিতে মাঠ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জেএন