নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সফল মেয়র ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা এবং জেলা দলিল লেখক সমিতি। সোমবার পৃথক দুইটি মতবিনিময় সভায় তারা এ অঙ্গীকার করেন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর উপশহরস্থ খায়রুজ্জামান লিটনের বাসার পাশে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা। সভায় উপস্থিত প্রায় দেড় শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারীরা খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
এ সময় উপস্থিত স্বাস্থ্য সহকারীরা গত পাঁচ বছরের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাদের উত্তরে আগামীতে নির্বাচিত হলে খায়রুজ্জামান লিটন নিয়মানুযায়ী তাদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত পাঁচ বছরে রাজশাহীর কোনো উন্নয়ন তো হয়নি, বরং সিটি কর্পোরেশন প্রায় ৮০ কোটি টাকার দেনায় পড়েছে। ২০১৩ সালে আমার রেখে আসা স্বচ্ছল প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশনের সুনাম ও ঐতিহ্য ফিরে আনা হবে। সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে দুপুর একটার দিকে নগরীর একটি রেঁস্তোরায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতি। সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত দলিল লেখকেরা রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দলিল লেখকদের অহেতুক হয়রানির হাত থেকে রক্ষার দাবি জানান তারা। এ সময় নির্বাচিত হলে সমস্যা সমাধানের আশ^াাস দেন খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজার রাখতে সব দলের প্রতি সহনশীল থাকতে হবে। দল-মতের উর্ধ্বে সবাই যদি ভালোবাসে, তবে সেটাই হবে যোগ্য নেতৃত্বে। আমি বিগত সময়ে সিটি কর্পোরেশনকে দলীয়করণ মুক্ত করতে পেরেছিলাম। দলীয় নেতাকর্মীদের বলতাম, দলীয় পরিচয়ে নয়, রাজশাহীর নাগরিক হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের প্রবেশ করতে হবে। দলীয় ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও আমার বাসাতে আলোচনা হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, উন্নয়নের নৌকায় চড়ে দেশ যখন এগিয়ে গেছে। গত পাঁচ বছর ধরে আমরা পিছিয়েছি। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্যে, সুন্দর নগরী উপহার দেওয়ার জন্যে সহযোগিতা চাই।
রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি ও গোদাগাড়ী উপজেলার আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে