লালপুর প্রতিনিধিঃ রমজান ও গ্রীষ্মের লম্বা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হতে আম,জাম,লেবু,বাঙ্গিসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যবসায় নেমেছে উপজেলার স্কুল-কলেজের কয়েক’শ শিক্ষার্থী। উপজেলার গোপালপুর,লালপুর,ওয়ালিয়া, বিলমাড়িয়া,সালামপুর,কলসনগর ধুপইলসহ বিভিন্ন বাজারে এসব শিক্ষার্থীরা এসব মৌসুমি ফল বিক্রি করে থাকে।এখান থেকে যে আয় হয় তা তারা তাদের সংসারে ও লেখা-পড়ার কাজে ব্যায় করে।
সালামপুরের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জামিল জানায়, এক মাসের ছুটিতে বাড়তি কিছু রোজগারের জন্য প্রতিদিন সে ও তার এলাকার কয়েকজন শিক্ষর্থী দিনের একটা সময়ে দাঁড়ি পাল্লা, চট ( ফল রাখার জায়গা) ও কয়েকটি ক্যারেটে বিভিন্ন মৌসুমি ফল নিয়ে আশে পাশের বাজারে বিক্রি করে আসছে। এতে তাদের বেশ ভালো লাভ হয়, এই বাড়তি আয় দিয়ে ঈদের কেনা কাটা সহ লেখা-পড়ার কাজে খরচ করে থাকে। লালপুর এলাকার এইচএসসি পরিক্ষার্থী সাগর মাহমুদ জানান, তিনি ছাড়াও আরো অনেক শিক্ষার্থী প্রতি বছর রমজান ও গ্রীষ্মের ছুটিকে কাজে লাগাতে মৌসুমি ফল ব্যবসায় নেমে পড়ে। এই এক মাসের ব্যাবসার যা আয় হয় তা লেখা-পড়ার খরচ চালাতে ব্যায় করে থাকে। পঞ্চম শ্রেণি পড়য়া শিক্ষার্থী রিহাব আলী জানায়, “পুরা জ্যৈষ্ঠি মাস ছুটি থাকায় ইস্কুলে যাওয়া নাই, তাই এই সময় লেখা-পড়ার পাশাপাশি গ্রাম থাইকা জাম কিনে আইনা আড়তে বেচি, এখান থেকে যে আয় হয় তা সংসারে ও লেখা-পড়ার কাজে খরচ করি”। কলেজ পড়–য়া অপর শিক্ষার্থী চয়ন জানায়, তারা ক্ষুদে বিক্রেতাদের নিকট হতে মৌসুমি ফল কিনে পার্শবর্তি ঈশ্বরদীর মুলাডুলি বাজারে বড় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন, তারা সেগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্স্থানে সরবরাহ করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ