লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ‘সুখবর,সুখবর, চাউল ক্রেতা ভাইদের জন্য সুখবর। চাউল কিনতে আর বাজারে গিয়ে লাইন ধরতে হবেনা। এখন চাউল আপনার বাড়ির সামনে এস হাজির হয়েছে। বাজারের সেরা মিনিকেট চাউল পাচ্ছেন মাত্র ২০ টাকা কেজিতে, অর্থাৎ মাত্র এক হাজার টাকা বস্তা (৫০ কেজি) দরে চাউল কিনতে চলে আসুন আমাদের প্রচার মাইক লক্ষ্য করে’। এভাবেই গত কয়েকদিন ধরে অভিনব কায়দায় নাটোরের লালপুর উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে করে চাউল বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মিনি ট্রাক,পাওয়ার ট্রলি, ভুটভুটি ও ভ্যান গাড়িতে মাইক বেধে মাইকিং করে চাউল বিক্রি করছে ব্যাবসায়ীরা। এরকম একজন ব্যাবসায়ী মকুল হোসেনের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয় উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউশা গ্রামে তার বাড়ি। সে একজন চাউল ব্যাবসায়ী। তিনি জানান,তার নিজের তিনটি ভুটভুটি বের হয়েছে চাউল নিয়ে।
দাম কম হওয়ায় মানুষ কিনছেও বেশ। প্রতিদিন সে এভাবে ২-৪ টন চাউল বিক্রি করছে। চাউল ক্রেতা কেশবপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানায় চাউলের মান ভালই। উপজেলার লালপুর বাজারের চাউল ব্যাবসায়ী দুলাল আলী জানান, সকল দোকানেই এখন এই চাউল পাওয়া যাচ্ছে। কোয়ালিটি ভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির এ চাউলের দাম একটু বেশি অর্থাৎ ১২০০ টাকা বস্তা।
উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বৃদ্ধ জমশেদ আলী (৭৫) জানান, জীবনে অনেক কিছুই দেখেছি কিন্তু মাইকিং করে চাউল বিক্রি করতে এই প্রথম দেখলাম,নাজানি আরো কত কি দেখবো!
লালপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহিদুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চাউলের দর পতনে ও বাজারে চাউলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে খুচরা বাজারে চাউলের দাম কমে গেছে। বড় বড় চাউলের মিল মালিকদের কাছে চাউলের মজুদ বেড়ে যাওয়ায় কম মূল্যে বাজারে চাউল ছাড়ছে। আর এসব চাউল বিক্রি করতে অভিনব উপায় বের করেছে ব্যাবসায়ীরা। তবে এ চাউলের মান বাজারের ওই নামের চাউলের মানের তুলনায় কম।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই