খবর২৪ঘণ্ট,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নে ভারত সরকার বারবারই বলে আসছে, জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে রোহিঙ্গারা বিপজ্জনক। বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তাদের যোগ থাকার কথাও। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ভুল বলেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্য এ বারে মাঠে নেমেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা তথা নাম ভাঁড়িয়ে তৈরি হওয়া জামাত-উদ-দাওয়া।
‘ফলাহ্-ই-ইনসানিয়ত’ নামেএকটি সংগঠন পাকিস্তানের জায়গায় জায়গায় অর্থ, ত্রাণের জিনিস ও ওষুধ সংগ্রহ করছে, সে দেশে ও ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য। আপাত ভাবে ত্রাণসামগ্রী বা ওষুধ সংগ্রহের মধ্যে আপত্তিকর কিছু না থাকলেও, যারা এই কাজটি করছে, ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, তাদের পরিচয়টাই যথেষ্ট অর্থবহ। ‘ফলাহ্-ই ইনসানিয়ত’ আসলে জামাত-উদ-দাওয়ারই একটি শাখা সংগঠন।
গত কয়েক মাস ধরেই দুবাই ও পাকিস্তানের রোহিঙ্গা নেতারা এই সমর্থন আদায়ে তৎপর রয়েছেন। নভেম্বরে রোহিঙ্গা ফেডারেশন অব আরাকনস-এর সভাপতি, দুবাইবাসী ফিরদৌস শেখ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানশেরা ও পরে ইসলামবাদে গিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সওয়াল করেন। ওই সফরেই জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা নভিদ কমর, রোহিঙ্গা সৌভ্রাতৃত্ব সংগঠনের নেতা নুর হুসেনের মতো বেশ কিছু পাক নেতার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পাকিস্তান রোহিঙ্গাদের জন্য যথেষ্ট করছে না বলে ক্ষোভও জানান।
এর পরপরই রোহিঙ্গাদের স্বার্থে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয় পাকিস্তানে। মায়ানমার ও অন্যত্র রোহিঙ্গা-নির্যাতনের বিষয়টি যাতে ইসলামিক দেশগুলি সংগঠন ওআইসি-তেও তোলা যায়, শুরু হয়েছে সেই তৎপরতাও। আল-খিদমত ফাউন্ডেশন নামে একটি পাক সংগঠন অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি ‘রোহিঙ্গা টাস্ক ফোর্স’ গড়বে বলে ঠিক করছে। রোহিঙ্গাদের দুর্দশার উপরে নজর রাখা ও তাদের জন্য ‘কাজ’ করাই হবে সেই টাস্ক ফোর্সের লক্ষ্য।
এমনিতেই ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদে নামাতে ভূস্বর্গের কাশ্মীরিদের সমানে উস্কে চলেছে পাকিস্তান। ভারতে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে জম্মু এলাকায়। পাকিস্তান তাদেরও ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টায় নামতে পারে। সে কারণেও ভারত এই ঘটনাবলির দিকে কড়া নজর রাখছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ রখা