নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র মাহে রমজান মাসের রোজায় ইফতারের পরে ঠাণ্ডা শরবতের চাহিদা বেড়েছে মুসলমানদের কাছে। রমজানের শুরু থেকেই নগরীর মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর সামনে এ ঠাণ্ডা শরবত বিক্রি হচ্ছে।
বরফ, পানি ও লেবু দিয়ে এ শরবত বানানো হচ্ছে। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ধরা হচ্ছে ১০ টাকা। সারা দিন রোজা থেকে ঠাণ্ডা শরবত দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিতে ভুল করছেন না গ্রাহকরা। ১০ টাকার তোয়াক্কা না করে শরীর ঠাণ্ডা করতে এ শরবত খাচ্ছেন তরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র মাহে রমজানের আগে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ও মোড়ে ঠাণ্ডা এ শরবত বিক্রি করা হতো। কিন্ত রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে এ শরবত বিক্রি করা হচ্ছে ইফতারের পরে। দিনভর রোজা থেকে সন্ধ্যা বেলায় ঠাণ্ডা শরবত খাচ্ছেন ক্রেতারা। নগরীর বিভিন্ন মসজিদের সামনে ও বাজারে ঠাণ্ডা শরবত বিক্রি করা হচ্ছে। মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে এ শরবত খাচ্ছেন। নগরীর গোরহাঙ্গা মসজিদের সামনে, সাহেব বাজার, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে এ শরবত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গোরহাঙ্গা মসজিদের কাছে ঠাণ্ডা শরবত খেতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সারা দিন রোজা রেখে শরীর ক্লান্ত মনে হয়। তখন শরবত খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তাই এ শরবত প্রায় প্রতিদিন খায়। খেতেও ভাল লাগে। তার মত অনেক ক্রেতাকে শরবত খেতে দেখা যায়।
এক শরবত বিক্রেতা বলেন, রোজা শুরু হওয়ার আগে দিনে এ শরবত বিক্রি করতাম। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ধরা হয় ১০ টাকা। কিন্ত রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে ইফতারের পরে শরবত বিক্রি করছি। সারাদিন রোজা রেখে লোকজন ঠাণ্ডা শরবত খায়। প্রতিদিন ভালই বিক্রি হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে