1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রোগী মরিবার পর ডাক্তার আসিলেন: রিজভী - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

রোগী মরিবার পর ডাক্তার আসিলেন: রিজভী

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এত বিশাল পরিমাণ কয়লা লুটপাটের পর দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্ত শুরু করেছে। যেন রোগী মরিবার পর ডাক্তার আসিলেন। আসলে দুদক তো সরকারের দুর্নীতি ধোয়ার মেশিন

শুক্রবার (২৭ জুলােই) সকালে রাজধনীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিরোধী দলের জন্য দুদক টর্চারিং মেশিন। দুদকের তদন্ত আইওয়াশ মাত্র। আসলে এই অবৈধ সরকারের আমলে মহাদুর্নীতি, সুপার দুর্নীতি, মেগা দুর্নীতিরই জয়জয়কার। শেয়ারমার্কেট থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু হয়ে ব্যাংক-বিমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পরীক্ষা ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার হাইপার দুর্নীতি মহা ধুমধামেই চলছে এই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়। তথ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়েছেন যে, পিয়নের চাকরি নিতে গেলেই নাকি ১০ লাখ টাকা লাগে। এই ১০ লাখ টাকার ভাগ কে কে পায়, সেটিও তথ্যমন্ত্রী জানালে ভালো করতেন।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে লোপাট হয়ে গেল লাখ লাখ টন কয়লা, অথচ খনি কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। কারণ, খনি কর্তৃপক্ষই শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল। আবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির বিপুল পরিমাণ কয়লা লোপাট হওয়া বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদাসীন থাকাটা রহস্যজনক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে এত বিপুল পরিমাণ কয়লা চুরিতে কেউ বিস্মিত নয়, কারণ মেগা চুরির ঘটনা কেবল আওয়ামী লীগের আমলেই ঘটে। স্বয়ং অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এখন পুকুরচুরি নয়, সাগরচুরি হয়। দুর্নীতি-দুঃশাসনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগেরই। মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরে অসাধু ব্যবসায়ী ও খনি সিন্ডিকেটই জাতীয় সম্পদ কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে না লাগিয়ে কালোবাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রমাণ কয়লা লোপাটের সঙ্গে খনি দুর্নীতির তদন্তে নাম আসা প্রকল্পের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিদেশ যেতে ৪২ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। তাই এই কয়লা লোপাটের মহাদুর্নীতির দায় সরকার বা সরকারপ্রধান এড়িয়ে যেতে পারে না।

মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আইন হাতে নিয়ে বেআইনি পন্থায় চালানো হচ্ছে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান। এ অভিযান জনমনে আতঙ্কের হিম শীতল স্রোত বইয়ে দিচ্ছে। প্রতিদিনই বন্দুকযুদ্ধের নামে চলছে মানুষ হত্যার উৎসব। মাদক অভিযান শুরু থেকে এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে প্রায় আড়াইশ জন ব্যক্তিকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের বাহিনীগুলো গর্বের সঙ্গে মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলছে জোরেশোরে। কৃতিত্ব দাবি করছেন মাদক নির্মূলের; কিন্তু জনসমাজে মাদকের ব্যাপ্তি কতটুকু কমেছে, তা সবাই টের পাচ্ছে। বেআইনি কর্মকাণ্ড বেআইনি পন্থায় দমন করা যায় না, প্রয়োজন হয় ন্যায়ভিত্তিক আইনের শাসনের প্রয়োগ।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী আদর্শে রঞ্জিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসন কখনই নিরপেক্ষভাবে অপরাধ ও অপরাধীকে চিহ্নিত করে তা নির্মূল করতে পারে না। এই কারণে মাদকের গডফাদাররা অধরাই থেকে যাচ্ছে, বদিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা।

রিজভী বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীনদের অনুগ্রহভাজন হয়ে ক্ষমতাসীন দলের অন্যায্য-অন্যায় নির্দেশ পালন করছে। এই কারণে তারা বাংলাদেশে এত রক্ত ঝরিয়েও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারেনি।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team