কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ীর বিয়ের রিসিপশন পার্টিতে একটি নির্দেশিকা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনের বাইরের বোর্ডে লেখা ছিল ‘‘প্লিজ, প্রেস অ্যান্ড পার্সোনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ড্রাইভার্স আর নট অ্যালাউড’। সাংবাদিক মহলের একাংশ সমাজমাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জিতু কমল, শ্রীলেখা মিত্র, পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়সহ টলিপাড়ার একাধিক বিশিষ্ট জন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ‘রুচি’বোধের সমালোচনা করেছেন।
কাঞ্চনের দীর্ঘদিনের বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ। ব্যস্ততার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
ওই নির্দেশিকার বিষয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিন্তু কাঞ্চনকে আমি যতটা চিনি, তাতে আমার মনে হয় এটা ওর কাজ নাও হতে পারে। কারণ সাংবাদিকদের ও যথেষ্ট সম্মান করে। এমনকি এক সময়ে ওর গাড়িচালককেও দেখেছি কাঞ্চনের সঙ্গে একই খাবার খেতে।’’
রুদ্রনীলের মতে, বাঙালি পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলে মিলে নিয়ে থাকেন। তাই অজান্তে কারও তরফে এই ভুল হয়েও থাকতে পারে। রুদ্রনীল বললেন, ‘‘কাঞ্চনের এটা প্রথম বিয়ে নয়। তাই উপযাজক হয়ে কারও হয়তো মনে হতেই পারে যে এই বিয়েকে ঘিরে গসিপ হবে। দায়িত্ব নিয়ে ওই ব্যক্তি একটা বড় ভুল করে বসেছেন।’’
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বলেন, কাঞ্চনদাকে আমি ছোট থেকে চিনি। তিনি এ রকম কিছু করতে পারেন বলে আমার অন্তত মনে হয় না।’’
শ্রাবন্তী নিজে অনুষ্ঠানে কোনো ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে যাননি। কিন্তু অনুষ্ঠানে যে বেশ কয়েক জন দেহরক্ষী ছিলেন তা তার চোখে পড়েছে। শ্রাবন্তীর কথায়, ‘‘আমি আধ ঘণ্টার জন্য গিয়েছিলাম। আমি কিন্তু দেখেছি কাঞ্চনদা এবং শ্রীময়ীর সুন্দর আতিথেয়তা। প্রত্যেককে সম্মান দিয়ে ওরা আপ্যায়ন করেছেন।’’
তবে শ্রাবন্তীও মেনে নিচ্ছেন যে ওই ধরনের কোনো নির্দেশিকা লেখা অনুচিত হয়েছে। শ্রাবন্তী বললেন, ‘‘জেনে-বুঝে কাঞ্চনদার মতো সুন্দর একটা মানুষ এই ভুল করতে পারেন না। এটা নিশ্চয়ই অন্য কেউ করেছেন।’’
জ/ন