1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রিজার্ভ কমে সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নামল - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন

রিজার্ভ কমে সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নামল

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ মারচ, ২০২৪

র‍েমিট্যান্সে হুন্ডির থাবা। রপ্তানি পণ্যের দামও পুরোটা আসছে না। কিন্তু আমদানির দায় শোধ না করে উপায় নেই। এতে চাপ বেড়েছে রিজার্ভের ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আকু পেমেন্টের পর দেশে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৬ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নভুক্ত (আকু) দেশগুলোকে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) আরও কমে যায়। আকু পেমেন্টের পরদিন মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শের বিপিএম ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ গতকাল সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।

তা থেকে ইডিএফ, সোনালী ব্যাংকের ঋণ প্রভৃতি বাদ দিলে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন। আর আমদানি ব্যয়, চলতি মাসের আকুর দায় এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বাবদ ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বাদ দেওয়ার পরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গতকাল সিআইডির এক অনুষ্ঠানে ডলার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকরে বলেন, ‘দেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। চলতি হিসাবের উন্নতি হয়েছে।

কিন্তু রিজার্ভে তেমন একটা উন্নতি হয়নি। মূলত ব্যবসার আড়ালে লেনদেনকালে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং হয়। তবে পণ্যমূল্য যাচাই ও মনিটরিংয়ের ফলে এই পদ্ধতিতে মানি লন্ডারিং প্রায় ৯০ শতাংশ বন্ধ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ হয়তোবা বন্ধ করা সম্ভব না। অপরদিকে হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্স পুরোপুরি দেশে আসছে না। পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরা সময়মতো রপ্তানি আয় ফিরে আনছেন না। সেটাই একপ্রকার অর্থ পাচার।’

বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা বিদেশে বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় বড় অঙ্কের রপ্তানি আয় দেশে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানায়, দেশে না আসা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ গতকাল পর্যন্ত ছিল ১১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি পদ্ধতিগত ত্রুটি, হিসাবের গরমিল এবং বৈদেশিক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত জটিলতায় দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না প্রায় ২ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বিদেশে পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় দেশে আসে। তার মানে ওই অর্থবছরের রপ্তানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি।

ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, ‘রপ্তানি আয় দেশে প্রত্যাবাসন না করার কিছু কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।’ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘অর্থ পাচার রোধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।বিশেষ করে ব্যবসার আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং করে যেন কেউ অর্থ বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য অনলাইনে পণ্যের দর যাচাই করা হচ্ছে। আর কারা অর্থ ফিরিয়ে আনছে না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

জ/ন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST