1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাসিক সিটি নির্বাচনে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০:৫৪ অপরাহ্ন

রাসিক সিটি নির্বাচনে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
রাসিক

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে জনপ্রতিনিধি (কাউন্সিলর) হতে চান ১১৭ জন। মনোনয়নপত্র জমার পর যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতাও পেয়েছেন তারা। তবে তাদের মধ্যে ৩৮ জনের নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলার । এদের মধ্যে কেউ হত্যা, কেউ অস্ত্র বা চোরাচালান মামলার আসামি।

এ ছাড়া ১০টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের জন্য বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৪৬ জন। তাদের নামে অবশ্য কোন মামলা নেই। দুজনের নামে মামলা থাকলেও তারা খালাস পেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, এই ৩৮ জন ছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে অন্য ১৮ জন আগে মামলার আসামি ছিলেন। তবে তারা মামলা থেকে অব্যাহতি কিংবা খালাস পেয়েছেন। কেউ কেউ বাদীর সঙ্গে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।

তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ২১টি মামলা চলমান রয়েছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কামরুজ্জামানের। এর মধ্যে বিচারাধীন রয়েছে ১২টি মামলা। তদন্ত চলছে ছয়টির। ইতিমধ্যে তিনি দুটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা বর্তমান মামলাগুলোর বেশির ভাগই বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে।

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আফজাল হোসেনের মামলা আছে ১৪ টি। আগের তিনটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার মামলাগুলোও বিস্ফোরকদ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের।

৩০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জামায়াত নেতা আবদুস সামাদের মামলার সংখ্যা ছয়টি। এর মধ্যে দুটি বিচারাধীন, চারটির তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে তিনি চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা চলমান। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমানের নামেও একটি মামলা আছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু দুটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম চারটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলিফ আল মাহামুদ লুকেন তিনটি বিচারাধীন মামলার আসামি। আগে তিনি ছয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

১৫টি মামলা থেকে আগে খালাস পেলেও এখনো একটি মামলা চলমান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রেজাউন নবী আল মামুনের। ১০ নম্বরের প্রার্থী রাজ্জাক আহমেদ রাজনের মামলার সংখ্যা দুটি। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের নামে মামলা আছে তিনটি। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলাও আছে তার। তিনি একটি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২০১৮ সালে। নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফ হোসেন বাবু তিনটি মামলার আসামি। এর মধ্যে দুটি বিচারাধীন। একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত। একই ওয়ার্ডের প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটোর নামে আছে হত্যাসহ দুটি মামলা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলছে শ্রম আদালতে।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর বেলাল আহমেদের বিচারাধীন মামলা আছে দুটি। ৩০ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা একটি। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানও একটি মামলার আসামি। ২ নম্বরের নোমানুল ইসলামেরও মামলা আছে দুটি। ২৬ নম্বরের মহিউদ্দিন বাবুর বিচারাধীন মামলা চারটি। তিনটিতে খালাস পেলেও এখনো দুটি মামলা চলছে ২৯ নম্বরের প্রার্থী মাসুদ রানার। আদালতে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুহুল আমিনের বিচার চলছে আটটি মামলায়। ৩ নম্বরের প্রার্থী বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানের বিচারাধীন মামলা তিনটি। ৫ নম্বরের হামিদুল ইসলাম সুজনের বিচারাধীন মামলা দুটি। আর ২ নম্বরের প্রার্থী মুখলেসুর রহমানের মামলা সাতটি।

২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বিচারাধীন নয়টি মামলার আসামি। একই ওয়ার্ডের আনারুল ইসলাম ও একলাস হোসেন লাকি একটি করে মামলার আসামি। ২৭ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন আযব তিনটি বিচারাধীন মামলার আসামি। ১১ নম্বরের প্রার্থী আবু বাক্কার কিনুর নামেও জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলা আছে। ১৪ নম্বরের মো. টুটুলের মামলার সংখ্যা তিনটি। ২৫ নম্বরের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টুর বিচারাধীন মামলা তিনটি।

১৪ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মুরাদ আলী একটি করে মামলার আসামি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আখতার আহম্মেদ বাচ্চু, ২৯ নম্বরের আবু জাফর বাবু, ৬ নম্বরের মো. বদিউজ্জামান, ২৬ নম্বরের মখলেসুর রহমান খলিল, ২৭ নম্বরের মো. মনিরুজ্জামান, ৮ নম্বরের জানে আলম খান জনি, ২৪ নম্বরের জাহাঙ্গীর আলম ও ১০ নম্বরের আমিনুল ইসলামেরও মামলা আছে একটি করে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক, রাজশাহী জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘সৎ ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা জনগণের দায়িত্ব। তারা প্রার্থীর ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ভোট দেবেন, এটাই হওয়া উচিত। তাহলে একজন যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। কোনো দাগি আসামি, সন্ত্রাসী কিংবা মাস্তান যেন জনপ্রতিনিধি না হতে পারেন, সে বিষয়ে ভোটারদেরই খেয়াল রাখতে হবে। ভোটের সময় দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথায় ভুলে গেলে চলবে না।’তবে ২/১ কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি থাকরেও তা উল্লেখ নেই।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘আগামী ২ জুন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। আগামী ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।’

জ/ন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST