1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাসিক নির্বাচন: কদর বেড়েছে দলের উপেক্ষিত ও প্রবীণ নেতাকর্মীদের - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

রাসিক নির্বাচন: কদর বেড়েছে দলের উপেক্ষিত ও প্রবীণ নেতাকর্মীদের

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৮ জুলা, ২০১৮

বিশেষ প্রতিবেদক :
আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে ইতমধ্যেই মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আড়ালে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। যাচাই-বাছাই শেষে রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৪ জন প্রার্থী থাকলেও মূলত মূল দুই দলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়েই চলছে আলোচনা।
মূল দুই প্রার্থী হচ্ছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র ও মেয়র পদপ্রার্থী নগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও নগর আ’লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র ও মেয়র পদপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগেই এই দুই দলের প্রার্থী নিজ নিজ পোস্টার ও হ্যান্ডবিল ছাপানোর কাজ করছেন। তবে পোস্টার ও হ্যান্ডবিলগুলো দিয়ে এখনো প্রচারণা হয়নি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রতীক বরাদ্দের আগে পোস্টার ছাপানোর কোন সুযোগ নেই। তবে তারা যেহেতু দলীয় প্রার্থী। তাদের প্রতীক নির্ধারিত এ জন্য তারা এ কাজ করেছেন বলে শুনেছি। এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার সুযোগ নেই।
দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এই প্রধান দুই দলের রাজশাহী মহানগরের প্রবীণ ও উপেক্ষিত নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন মেয়র প্রার্থী ও তাদের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দ। উদ্দেশ্য একটাই সমস্ত মান-অভিমান ভুলে সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করা। এ জন্য নেতাকর্মীদের মান ভাঙ্গাতে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন তারা।

সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলের প্রবীণ ও উপেক্ষিত নেতাকর্মীদের মান ভাঙ্গাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দলের উর্দ্ধতন নেতা এবং সংশ্লিষ্ট মেয়র প্রার্থী।
যাদের সাথে যোগাযোগ করে মান ভাঙ্গানো হচ্ছে এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই পছন্দের পদ না পাওয়ার কারণে দল থেকে দুরে সরে রয়েছে ও বার্ধক্যের কারণে নিভৃতে বাড়িতে রয়েছে। কিন্ত ভোট বলে কথা। তাই সবাইকে নিয়ে প্রচার-প্রচারণা করে বিজয় অর্জন করার জন্য প্রার্থীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করছেন সিনিয়র নেতারা। তারা সমস্ত মান ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছেন।

তবে প্রধান দুই দলের মধ্যে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী বুলবুলের উপরই দলীয় নেতাকর্মীদের অভিমান বেশি ছিল। এর কারণ হিসেবে সূত্রটি বলছে, রাসিক মেয়র থাকাকালে তিনি নেতাকর্মীদের খোঁজখবর বেশি নেননি বা নেতাকর্মীরা দেখা করতে গেলেও দেখা করেননি। দুর্দিনে কেউ তাকে পাশে না পাওয়ায় এ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তাই তারা দুরে সরে গেছে। ভোট আসন্ন হওয়ায় এসব নেতাকর্মীদের মান ভাঙ্গানোর জন্য মহানগর বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে দুরে সরে যাওয়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মান-অভিমান ভুলে একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গিকারও করেছেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে নগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন কারণে বর্তমান মেয়র প্রার্থী ও দলের উপর চটে ছিলেন। তাদের কাছে গিয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গিকারও করেছেন। নগর বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি প্রার্থীর জয় হবে নিশ্চিত।

এদিকে, আ’লীগ প্রার্থী লিটনের ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন ক্ষোভ না থাকলেও বিভিন্ন কারণে যারা দল থেকে দুরে সরে গিয়েছিল বা বয়সের কারণে বাড়িতে নিভৃতেই রয়েছেন সেসব নেতাকর্মীদের কাছে গিয়ে সিটি ভোটে কাজ করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। যাতে তাদের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হয়।
এ ছাড়া অন্য দুই প্রার্থীর তেমন কোন ভোট ব্যাংক না থাকায় এ ধরণের সমস্যা দৃশ্যমান হয়নি।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST