নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে ডিউটি চলাকালীন সময়ে নার্সের মেসে গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি জানাজানির পর রামেক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের মেইন ষ্টোরের ইন্সট্রুমেন্ট কেয়ারটেকার নগরীর সিপাইপাড়ার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পাশের এক মেসে গিয়ে একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। বিষয়টি ওই মেসে থাকা অন্য কয়েকজন নার্স দেখে ফেলেন। তবে ওই নারী কর্মচারী ও নার্সের মানসম্মানের কথা ভেবে তারা বিষয়টি চেপে যান। কিন্তু ওই নারী কর্মচারী গত শনিবার রামেক হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে গিয়ে উল্টো ঘটনাটি কারও কাছে প্রকাশ করলে প্রতক্ষদর্শীদের বিরুদ্ধে পরিচালকের কাছে অভিযোগ, বাইরের লোক দিয়ে মারধরের হুমকি এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এরপর গত মঙ্গলবার মাসুদ রানা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতার কারনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তারা তাদের নিরাপত্তাসহ ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচার চান।
এদিকে, বিষয়টি জানাজনির পর হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। নার্সিং এসোসিয়েশনের নেতারা গতকাল বুধবার পরিচালকের সাথে দেখা করে এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি করেন। তারা ওই নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে বলেন, এর আগে সে তৎকালীন পরিচালকের পিএ মোজাহার আলী খানের বিরুদ্ধে তাকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে অন্যত্র বদলি করিয়েছেন। তারা দাবি করেন, ওই নারী কর্মচারীর জন্য হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত নার্সসহ ওই নারী কর্মচারীর উপযুক্ত শাস্তিসহ অন্যত্র বদলির দাবি জানান তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের পরিচালক বিক্ষুব্ধ নার্সদের দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়ার আশ্বস দিয়েছেন বলে নার্সিং নেতারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের নার্সিং এসোসিয়েশনের সভাপতি ইলোরা পারভীন সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারী কর্মচারী চাকরিতে যোগদান করা একজন নার্সের (ব্রাদার) মেসে স্বেচ্ছায় গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। অন্য নার্সরা তা দেখে ফেলায় সে উল্টো আমাদের সহকর্মীদের হুমকি দেয়ার কারণে ওই নারী কর্মচারীসহ দু’জনের বিরুদ্ধেই পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। পরিচালক স্যার বিষয়টি দ্রুত দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন, যদি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয় তাহলে হাসপাতালের সব নার্স আন্দোলনে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গতকাল বুধবার হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তরে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
অফিস সময়ে তার অধীনস্ত হাসপাতালের মেইন ষ্টোরের ইন্সট্রুমেন্ট কেয়ার টেকার বাইরে গিয়ে অসামাজি কাজে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ হয়েছে বিষয়টি তিনি জানেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র ষ্টোর অফিসার ডা. আলী আকবর বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত কর্মচারী (১৭ জানুয়রী) অফিস সময়ে (সকাল সাড়ে ১০টা) বাইরে যাওয়ার বিষয়ে তার অনুমতি নেননি।
খবর২৪ঘন্টা /এম কে