গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনিটটির ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একরামুল হামিদ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসিব চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটে অংশ নেন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৬ ও ৭ নভেম্বর যথাক্রমে ‘সি’ ও ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে রাবি কর্তৃপক্ষ।
‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রুপ-২ থেকে অংশ নিয়ে এমসিকিউয়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ২০ নম্বর। যার ফলে ভর্তি পরীক্ষার শর্তানুযায়ী তার লিখিত খাতা মূল্যায়নের অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল-৫৪২৩৩। তবে তিনি ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের অ-বিজ্ঞান শাখায় মানবিক থেকে অংশ নিয়ে এমসিকিউয়ে ৬০ এর মধ্যে ৫৪ এবং লিখিততে ৪০ এর মধ্যে ২৬ নম্বর পেয়ে (মোট ৮০) প্রথম হন। তার সি ইউনিটে পরীক্ষার রোল ৮০৩১৮।
বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানতে চাইলে অধ্যাপক একরামুল হামিদ বলেন, তার দুই ইউনিটের খাতার লেখায় কিছুটা গরমিল পাওয়া গেছে।
এ জন্য সাময়িকভাবে তার ভর্তি স্থগিত করা হয়েছে। তবে সে যে জালিয়াতি করেনি সেটি আগামী এক ডিসেম্বরের মধ্যে প্রমাণ করতে পারলে ভর্তির সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ডিন অফিসে এসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু এখনও সে যোগাযোগ করেনি। জালিয়াতির বিষয়ে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত হাসিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এমকে