বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ‘আসলে যখন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হয় তখন তো আমাদের সন্তান হয়নি। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সময়ও নির্দেশনায় এরকম কিছু ছিল না। যতটুকু তথ্য পেয়েছিলাম তাতে এরকম কোন নির্দেশনা ছিল না যে, বাচ্চা নিয়ে ঢুকতে দিবে না। সে ক্ষেত্রে আমরা গেটে এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি।’
শিশু সন্তান নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদিতে এসে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশে বাধা পেয়ে বেশ ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম।
ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীও এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক দূর থেকে এসেছি। এরকম কোন কিছু হবে আগে থেকে জানালে আসতামই না। তাছাড়া এটিতো একদমই অন্যায়। ’
আরেকজন অভিভাবক রাগন্বিত হয়ে বলেন, ‘আমরা এখন অভিযোগ করার মতো কাউকে পাচ্ছি না। এগুলাতো বাচ্চা না, এগুলো… (প্রকাশ অনুপোযোগী)। কিছুক্ষণ পর পর বাচ্চাকে খাবার দিতে হয়। তখন সে দায়িত্ব কে নিবে, আমরা কিভাবে কি করব?
এদিকে নিরাপত্তা প্রহরীরা বলছেন, আমাদেরকে উপর থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সে নির্দেশনা মানতে বাধ্য। শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন এটা ঠিক কিন্তু আমাদের হাতে কিছু করার নায়। যদি তারা বাইরে এসে সন্তানদের খাবার দিতে চান তাহলে সেটুকু করতে পারব।খবর ২৪ঘণ্টা/ নই