নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রেমের ফাঁদে ফেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন হাজার টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর নিউ ডিগ্রি কলেজের দুই ছাত্রী রাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ করে জানান, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আসলে দুই বান্ধবীর মধ্যে একজনকে আটকে রেখে তিন যুবক ছাত্রলীগ পরিচয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে করে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের পরিচয় জানা যায়নি। ওই দুই ছাত্রীর বন্ধু বিভাষ অভিযোগ করে জানান, তার দুই বান্ধবী শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ক্যাম্পাসে আসে। পরে সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়ে তিন যুবক তার বান্ধবীদেরকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনে নিয়ে যায়। তারা এক হাজার টাকার নিয়ে একজনকে ছেড়ে দেয়। এ সময় আটকে রাখা আরেক বান্ধবীর ফোন থেকে
বিভাষকে ফোন করে তিন হাজার টাকা দিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে যেতে বলে ওই তিন যুবক। পরে বিভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটির অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান। তবে পুলিশ ওই যুবকদেরকে আটক না করে উল্টো ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন বিভাষ। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফাঁড়িতে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তারা ফাঁড়িতে অবস্থান করেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ছাত্রী অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি দ্রুত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে একজন মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যায়। পরে তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তবে দুটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়েকে একহাজার টাকা নিয়ে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল অপহরণকারীরা। এরপর পুলিশ যাওয়ার খবরে তারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিভাবকদের হাতে ওই
মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ করতে বলা হলেও তারা অভিযোগ করেনি। এ কারণে কোনো আটক হয়নি। তারা অভিযোগ না দিয়েই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। ছাত্রলীগের নেতারা কেন পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অন্যায় বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না এমন বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে। তারাও নেতাকর্মীদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখবেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তারা ছাত্রলীগ কর্মী ছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের পাওয়া যায়নি ও পরিচয় জানা যায়নি।
খবর ২৪ ঘন্টা/আর