নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের বাগানে লিচু পাড়তে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে দায়িত্বরত প্রহরীদের মারধরের শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ৫ জনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। পরে আশীষ (২৪) নামের স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কানন এবং উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা রামেকের ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে বেগম রোকয়া হলের পিছনে লিচু পাড়তে যায় কানন ও মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এসময় বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েক যুবক তাদের লিচু পাড়তে বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে স্থানীয় ওই যুবকেরা। এতে ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙ্গে যায় ও মেহেদীর পায়ে গুরুতর জখম হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে তারা স্থানীয় কাউকে দেখতে না পেয়ে পাহারাদারদের থাকার জন্য নির্মিত মাচার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে স্থানীয়রা মারধর করেছে। তারা এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
মতিহার থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা অত্যন্ত অপরাধের কাজ। এঘটনায় থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আর/এস