রাবি প্রতিনিধিঃ ক্যাম্পাসে উচ্ছৃঙ্খল ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ‘বহিষ্কারের নাটক’ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের অপকর্মের শাস্তির নামে ‘লোক দেখানো’ বহিষ্কার করার পর তা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সাংবাদিক মারধর ও প্রক্সি পরীক্ষায় জড়িত থাকার দায়ে রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাস ভাঙচুর ঘটনার ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিককে মারধর করেন ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতাকর্মী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই দিন সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই বছরের ১৮ জুলাই রাজশাহীর মোহনপুরে ডিগ্রি (পাশ) পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। ওই ঘটনায় তিনদিন পর ২১ জুলাই সাব্বির হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু রাবি ছাত্রলীগের সুপারিশে গত ১৮ নভেম্বর মো. সাব্বির হোসেন ও মাহমুদুর রহমান কাননের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সর্বশেষ গত রবিবার রাবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাংবাদিক ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম বিজয়ের বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন শাহাজাদা বলেন, ‘যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক দিন থেকেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য ঘুরাঘুরি করছিল। সেই সঙ্গে তারা আর এধরণের কর্মকাণ্ড করবে না- এমন শর্তে আমাদেরকে লিখিত দিয়েছে। তাই তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তারা ক্ষমা চেয়েছে লিখিত স্বীকারোক্তি দেয় যে- তারা আর এধরণের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে না। এই বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ হয়তো বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ