রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে দুই দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা এবং বেলা ১১টার দিকে সারদা থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটে।
তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল হক এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ওই ভোটকেন্দ্রেই ছিলেন।
তারা টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন। তখনই সামান্য দূরে ভোটারদের সারির পেছনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরিত হয় এবং অন্যটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে। এরপর সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও ওই ভোটকেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এদিকে, ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনার জন্য দুই প্রার্থী একে-অন্যকে দুষছেন। বিএনপি প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে চায়। এ কারণে ভোটারদের আতঙ্কিত করে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা করতে তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
আর একই কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল হক। তিনি বলেন, এটা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের কাজ। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের সামনেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তা বলতে পারব না। তবে এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে।
পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে রাজশাহীর দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। চারঘাট ছাড়া অন্যটি হলো জেলার দুর্গাপুর পৌরসভা।
জেএন