নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর আদালত থেকে হ্যান্ডকাপ ও দড়িসহ আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিসি পিওএম হেমায়েত উল্লাহকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য ডিসি পিওএম স্যারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে পুলিশ কমিশনার স্যারকে রিপোর্ট দেবেন।
এদিকে, পলাতক আসামী মার্সালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেই সাথে যার গ্যারেজে গিয়ে মার্সাল হ্যান্ডকাপ কেটে মুক্ত হয় সেই ভদ্রা জামালপুর এলাকার গ্যারেজের মালিক মতিউরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মার্সাল আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সে ভদ্রা জামালপুর এলাকার ওলি বাবার মাজার গেটের কাছে অবস্থিত মতিউর রহমানের গ্যারেজে অবস্থান নেয়। এরপর মতিউরের কর্মচারী সাজুুর সহায়তায় মার্সালের হ্যান্ডকাপ কেটে তাকে মুক্ত করা হয়। মতিউরের কর্মচারী সাজুই মার্সাল পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে সহায়তা করেছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
তবে ওই দিনই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পলাতক আসামী মার্সাল ও গ্যারেজ মালিক মতিউর গ্রেফতার হলেও কর্মচারী সাজু এখানো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। পুলিশ একজনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আদালত থেকে আসামী পালানোয় কোর্ট পুলিশের কোন গাফিলতি নেই। আসামী মার্সাল ও গ্যারেজ মালিক মতিউরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএমপির ডিসি পিওএম হেমায়েত উল্লাহ, বিষয়টি তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত চত্বর থেকে মার্সাল নামের ওই আসামী হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে