1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে ব্যাংক থেকে লোপাট করা ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জুয়া খেলে হেরেছেন কর্মকর্তা - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০:৩৫ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে ব্যাংক থেকে লোপাট করা ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জুয়া খেলে হেরেছেন কর্মকর্তা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে জুয়া খেলে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা খুয়েছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার এক কর্মকর্তা। টাকাগুলো জুয়াতে হেরেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ তথ্য দিয়েছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।

ওই কর্মকর্তার নাম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। তিনি নগরীর সাগরপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ পদে দায়িত্বে ছিলেন তিনি ।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাংক কর্মকর্তা ফায়সালের দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, গত দুই বছর ধরে তিনি টাকাগুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকেন। এই টাকায় তিনি বিপিএল ও আইপিএলসহ বিভিন্ন খেলায় অনলাইনে বাজি ধরতেন। এতে কখনো কখনো জিতলেও প্রায়ই হারতেন। এভাবেই টাকাগুলো তিনি অনলাইনে জুয়া খেলে হেরেছেন বলে রিমান্ডে ফায়সাল জানিয়েছেন।

ওসি বলেন, গত সোমবার ফায়সালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা সরানোর কথা শিকার করেন। ফায়সাল জানিয়েছেন, ব্যাংকটির ভোল্টে সব সময় প্রায় ১৫ কোটি টাকা থাকতো। টাকা রাখার ভল্টের সামনের লাইন ঠিক রেখে পেছনের লাইন থেকে তিনি টাকাগুলো সরাতেন। এতে করে ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার সন্দেহ হতো না।

ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ভোল্টের সমস্ত টাকা গণনার পর ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম পাওয়া যায়। এসময় তিনি টাকা সরানোর কথা স্বীকার করেন। প্রথমে তিনি বলেন, টাকাগুলো তার দুই বন্ধুকে এবং তার ব্যবসার একটি প্রকল্পের কিস্তি দিয়েছি। টাকাগুলো ফেরত দেয়ার জন্য সময় চান তিনি।

তবে তার কথায় সন্দেহ হলে রাত ১২টার দিকে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। পরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সে মামলায় ফায়সালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST