এবার শিক্ষানগরী রাজশাহীর একটি বাড়ি থেকে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনীসহ শওকত আলী (৩৮) নামের একব্যক্তিকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আটক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার কয়রা সরাতলা গ্রামের আওয়াল আলী খন্দকারের ছেলে। আটক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার কয়রা সরাতলা গ্রামের আওয়াল আলী খন্দকারের ছেলে। আটক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার কয়রা সরাতলা গ্রামের আওয়াল আলী খন্দকারের ছেলে। গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল
থানাধীন সাগরপাড়া কাঁচা বাজার এলাকার হাবিব মঞ্জিলের নিচ তলায় দেশী-বিদেশী কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত নকল প্রসাধনী মজুদ করে রাজশাহী মহানগর এবং মহানগরীর বাহিরে বিভিন্ন বিউটি পার্লার, জেন্টস পার্লার, সেলুন ও কসমেটিক্স এর দোকানে সরবরাহ করে আসছিল। বিষয়টি জানার পরেই ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
এ তথ্য নিশ্চিত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন সাগরপাড়া কাঁচা বাজার এলাকার শওকত আলী (৩৮) তার ভাড়া বাসা হাবিব মঞ্জিলের নিচতলায় দেশী-বিদেশী কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত নকল প্রসাধনী মজুদ করে রাজশাহী মহানগর এবং মহানগরীর বাহিরে বিভিন্ন বিউটি পার্লার, জেন্টস পার্লার, সেলুন ও কসমেটিক্স এর দোকানে সরবরাহ করছে। যার কোন অনুমোদন নেই। এগুলো নামিদামী ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী। যা বিভিন্ন দোকানে দিয়ে প্রতারিত করা হচ্ছে।
বিষয়টি জানার পর ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে দেশী-বিদেশী কোম্পানীর মোড়ক যুক্ত নকল প্রসাধণী উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা। এ সময় ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নকল প্রসাধনী মজুদকারী শওকত আলীকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনি আরো জানান, আটক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এমন অবৈধ কর্মকাÐ করে মানুষকে প্রতারিত করে যাচ্ছে। জনস্বার্থে ও উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম আবাসিক-১ এলাকার একটি বাড়ি থেকে আনিছ নামের একব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন
নামিদামী ব্র্যান্ডের কোম্পানীর ৭১ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ ও মেশিনসহ আটক করা হয়। আটকের সময় তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি প্রতি মাসে থানা পুলিশ, ফাঁড়ি, সিটিএসবি ও সাংবাদিকদের মাসোয়ারা দেন। যার পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো। পরে পুলিশ কমিশনার প্রেস কনফারেন্সে তদন্ত সাপেক্ষে মাসোয়ারা নেওয়া পুলিশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।
এস/আর