নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহাগরীতে ডিবি ও সিটিএসবির কথিত সোর্সের মাধ্যমে বিএনপি কর্মী বলে তিন জনকে ধরে টাকা আদায় করে ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নগর গোয়েন্দা শাখার এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। গত ২৮ সেপ্টেমবর রাতে তাদের নগরীর শাহমখদুম থানধীন ভুগরইল এলাকা থেকে আটক করে আবার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। নগরীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল পশ্চিমপাড়া এলাকার আইয়ুবের ছেলে হাডওয়্যার ব্যবসায়ী মানিক, চায়ের দোকানি রফিক এবং ওই এলাকার
রাজ্জাকের ছেলে রায়হানের পরিবার খবর ২৪ ঘণ্টার কাছে অভিযোগ করে জানান, গত ২৮ সেপ্টেমবর দিবাগত রাতে ডিবির এসআই হাসান কথিত সোর্স সুমন ও ফুলতলা এলাকার জিয়ার মাধ্যমে তিনজনকে বিএনপি কর্মী বলে আটক করে। আটক করার কারণ জানতে চাইলে সোর্সরা বলে তারা বিএনপির কর্মী। এ জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। সমাবেশে যাওয়ার জন্য মিটিং করছে। আটকের পর তাদের সোর্সরা জানায় টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে। টাকা না দিলে মামলায় চালান করে দেওয়া হবে। মামলা থেকে বাঁচতে হার্ডওয়্যার
ব্যবসায়ী মানিকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা, চায়ের দোকানদার রফিকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং রায়হানের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। টাকা নেওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীরা আরো জানায়, বিষয়টি তারা যাতে কাউকে না জানায়। ভয়ে তারা বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এদিকে, এ তিনজন ছাড়াও এলাকার অন্যান্য লোকের অভিযোগ পুলিশের দালাল জিয়া ও সুমন ওই এলাকার নিরীহ মানুষকে বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে হয়রানি
করায়। তাদেরকে সবাই পুলিশের দালাল হিসেবে চেনার কারণে কেউ বিপদে পড়লে তাদের কাছেই আসে। আর সেই সুযোগে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। দুই সোর্সের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরপর টাকার মাধ্যমে আবার ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে সেই সোর্সরা। এই দু’জনের কারণে এলাকাবাসী মাঝেমধ্যেই বিপাকে পড়েন। তাই এই দু’জনকে স্থানীয়রা
আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে নগর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শকের সরকারী নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করা হয়নি। নগর গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার একরামুল হক বলেন, আমি বাইরে ছিলাম। আজ যোগদান করেছি। এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হবে।
আর/এস