নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৫ উদযাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পান্তা ও ইলিশ খাওয়ার আয়োজন করা হয়। নগরীর কোথাও কোথাও ফ্রি পান্তার খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়। বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে নগরীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী গান আর বিভিন্ন শিশুতোষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই রাজশাহী মহানগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
এদিন সরকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিঠা মেলাসহ নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন স্টল বসিয়ে তাতে বাহারী খাবার ও লোকসংস্কৃতির বৈচিত্র তুলে ধরা হয়।
শনিবার সকালে রাজশাহী কলেজের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বিঘেœ বৈশাখ উদ্যাপন করতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও র্যাবের টহল ছিল চোখে পড়ার মত।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই বৈশাখের সকল আয়োজন শেষ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
দিনভর বিভিন্ন যানবাহনে কিশোরদের মাইক নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশু পার্ক, পদ্মা গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, টি বাঁধ ও পদ্মার চরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তবে সন্ধ্যা ৬টার পরে সবাইকে এসব স্থান থেকে বের করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার সময় নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।