রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের উদ্যোগে ‘পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি হোক প্রসারিত, টেকসই উন্নয়নে দেশে হোক উন্নত’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপ¯’ান করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মইনুদ্দিন।
এ সময় তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের রাইস মিলগুলোসহ সারা দেশে উৎপাদিত প্রায় ৫.৫ কোটি টন ধানের ব্রান থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ৭.৫ লাখ টন ভোজ্য তেল। যা বাংলাদেশের মোট চাহিদার অর্ধেক পূরণ করবে। বিগত বছরগুলোতে আমদানীকৃত ভোজ্য তেলের পরিমাণ বছরে প্রায় ১৫-২০ লাখ টন। এতে খারচ প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, রাইস ব্রান, সরিষা, তিল, চিনা বাদাম, ভূট্টা ইত্যাদি বাংলাদেশের সকল ভোজ্য তেলের উৎস গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত টেকনোলজি ব্যবহার করে বাজারজাত করলে ভোজ্য তেলে বাংলাদেশ স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন শুধু নয়। বিদেশে রপ্তানিও করতে পারবে। এক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামিলুর রহমান। শিল্পোদ্যোক্তা ও শিল্পে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে বিজ্ঞানীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমেই কেবল দেশের শিল্পায়ন ও শিল্প অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে শিল্পায়নে যে সব বাধা, সমস্যা শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে শিল্পায়নে নিরুৎসাহিত করে সেগুলো চিহ্নিত করন ও তা নির্মূলের উপায় উদ্ভাবনের লক্ষ্যে শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার রাজশাহীর পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সদস্য বিজয় ভূষণ পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. অপূর্ব কুমার রায়, রুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোশাররাফ হোসেন।
আর/এস
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।