নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারীসহ প্রাইভেটকার চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ। গতকাল ২০ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টায় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানাধীন এলেঙ্গা ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে একটি এক্সিও চোরাই প্রাইভেট কারসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, রাজধানী ঢাকার সাভার থানার গেন্ডা এলাকার ভোলা জেলার বশির উদ্দিনের ছেলে মামুন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নাওজান গ্রামের মৃত আলমাস মিয়ার ছেলে টিটু, পিরোজপুর জেলার আলী থানার গ্রামের মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বগুড়া জেলার ফুলবাড়ী থানার রবিউল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও ফরিদপুর জেলার চর ডাঙ্গা এলাকার টিটু স্ত্রী শারমিন ওরফে রানী। রোববার বেলা সাড়ে ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ।তিনি জানান, চলতি বছরের গত জুন মাসের ৬ তারিখ বিকেল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে রাজাবাড়ি হাট এলাকা থেকে একটি ট্রাক চুরি হয়। তার প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার পর জেলা
গোয়েন্দা পুলিশ দেশের ট্রাক চুরির অন্যতম মূল হোতা মনির, গিয়াসকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাইভেট কার চোর চক্রের সদস্যদের সন্ধান বেরিয়ে আসে। এরপর দীর্ঘ তিন মাস জেলা ডিবি পুলিশ কার চুরি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে নেমে পড়ে। তারপর ২০ তারিখ ভোর সাড়ে ৪টায় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানাধীন এলেঙ্গা ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদের চোরাই প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায় যে, তারা প্রাইভেট কার চুরি চক্রের ৫ জনের একটি দল। প্রথমে তারা কোন ভাল মানের প্রাইভেট কারকে টার্গেট করে এক বা একাধিকবার ভাড়ায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়ে চালকের সাথে সখ্যতা তৈরি করে। পরে সুযোগ বুঝে জুসের সাথে পেইস নামের একটি অতিমাত্রার ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। সেটা খেয়ে চালক অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের মধ্যে একজন চালকের আসনে বসে গাড়ী চালাতে থাকে। তাদের সুবিধামতজায়গায় অজ্ঞান হওয়া ড্রাইভারকে ফেলে দেয় এবং মোবাইল ফোন নিয়ে চালু করে। যাতে মালিক পক্ষ ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন কথা বলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তাদের স্থানে পৌঁছার পর ফোনটি ফেলে দেয়। আসামীরা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হলেও ঢাকার সাভার এলাকায় পরস্পর যোগসাজেশ করে এমন চুরির ঘটনা ঘটাতো। চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। মামলাটি তদন্ত চলছে। এভাবে তারা কতগুলো গাড়ী চুরি করিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, জেলা পুলিশ মোট ১৪টি ট্রাক ও ২টি প্রাইভেট এরই মধ্যে উদ্ধার করেছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে